নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজোয় তিন দিন সরকারি ছুটির দাবি জানাল জাতীয় হিন্দু মহাজোট। পাশাপাশি পুজোর ১০ দিন আগে থেকে বিজয়া দশমী পর্যন্ত দুর্গাপুজোর মণ্ডপগুলিতে বিশেষ নিরাপত্তার দাবিও জানিয়েছে। ওই দাবি মানার জন্য আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন মহাজোটের নেতারা।
মুসলিমদের উৎসবে ঢালাও ছুটি বরাদ্দ হলেও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসবে নামমাত্র ছুটি বরাদ্দ। দুর্গাপুজোয় শুধুমাত্র বিজয়া দশমীর দিনেই ছুটি থাকে। গত কয়েক বছর ধরেই অষ্টমী থেকে দশমী পর্যন্ত ছুটির দাবিতে সরব হয়েছে হিন্দু সংগঠনগুলি। যদিও তাতে কর্ণপাত করেননি হিন্দুদের মসিহা হিসেবে নিজেকে দাবি করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুধু তাই নয়, গত ১সাড়ে ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের জমানায় দুর্গাপুজোয় হিন্দুদের মণ্ডপ ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সাংবাদিক জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব পলাশ কান্তি আসন্ন দুর্গোৎসবে তিন দিন সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘শুধুমাত্র দশমীর দিন সরকারি ছুটি থাকায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা তাদের সবচেয়ে বড় পার্বণে প্রাণ খুলে উৎসবে মাততে পারেন না। পরিবার–পরিজনের সঙ্গে পুজোর আনন্দ ভাগ করে নিতেও পারেন না। তাই চলতি বছরে অষ্টমী থেকে দশমী পর্যন্ত সরকারি ছুটি ঘোষণা করতে হবে।’ পাশাপাশি সরকারি খরচে দেশের প্রতিটি পুজোমণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোরও দাবি জানিয়েছেন তিনি। চলতি বছরেও দুর্গাপুজোর সময়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপরে হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল, ফরিদপুর, হবিগঞ্জের মাধবপুর, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে প্রতিমা ভাঙচুর ও মন্দিরে হামলায় আশঙ্কা করছি। পুজো যত ঘনিয়ে আসবে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা তত বাড়বে। ফলে প্রশাসনকে আগেভাগেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।’ ১২ অক্টোবরের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে পুজোয় তিনদিনের ছুটি নিয়ে নির্দিষ্ট ঘোষণা না এলে ১৩ অক্টোবর দেশজুড়ে মানবন্ধন পালনের পাশাপাশি বিক্ষোভ দেখানো হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব।