বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ খাতে নেদারল্যান্ডসের বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য নেদারল্যান্ডসকে জায়গা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েনকে বলেন, “আপনারা (নেদারল্যান্ডস) চাইলে আমরা আপনাদের ড্রাইডকের জন্য জায়গা দিতে পারি”।
বৃহস্পতিবার (৩ অগাস্ট) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ইহসানুল করিম জানান, সাক্ষাৎকালে শেখ হাসিনা ও অ্যান ভ্যান লিউয়েন দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
ইহসানুল করিম বলেন, ডেলটা প্ল্যান-২১০০, জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় তাদের আলোচনায় উঠে আসে।
অ্যান ভ্যান লিউয়েন প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, ডেলটা প্ল্যান একটি চমৎকার ধারণা এবং এটি বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে নেদারল্যান্ডস। এ ছাড়া, পানি ব্যবস্থাপনা, কৃষি উন্নয়ন ও আইসিটি বিষয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ উপকৃত হতে পারে। কারণ নেদারল্যান্ডসের এসব খাতে যথেষ্ট দক্ষতা রয়েছে।
অ্যান ভ্যান লিউয়েন আশা প্রকাশ করেন, আগামী দিনগুলোতে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও গভীর ও শক্তিশালী হবে।
অ্যান ভ্যান লিউয়েন প্রধানমন্ত্রীকে আরও বলেছেন, বাংলাদেশে কাজ করতে পেরে তিনি আনন্দিত। বাংলাদেশ তাঁর হৃদয়ে থাকবে।
শেখ হাসিনা বলেন, নেদারল্যান্ডসের মতো বাংলাদেশও ভূমি পুনরুদ্ধার করতে চায়।
জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে আলোচনার সময় তিনি বলেন, “ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মধ্যেও বাংলাদেশকে টিকে থাকতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি আমাদের সাফল্যের সঙ্গে পরিচালনা করতে হবে”।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে বিপুলসংখ্যক মানুষ মারা গিয়েছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেন এবং পরে তার সরকার এ কর্মসূচির প্রসার ঘটায়।
বৈশ্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো প্রচণ্ড অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর নঙ্গে রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাতের সময় অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।