একবার কেউ এই খাবারের স্বাদ পেলে বারেবারে খেতে চাইবেন। বলতে গেলে আঙুল চাটবেন। এবার এই খাবারগুলিকে জনপ্রিয় করতে চাইছে ত্রিপুরার সরকার এবং বনবিভাগ। এই লক্ষ্য নিয়ে, আগরতলায় আয়োজন করা হল একটি অন্য ধরনের খাদ্য মেলার ।
Digha Beach : পমফ্রেট-লবস্টার থেকে কাঁকড়া, দিঘায় সি ফুড ফেস্টিভ্যালে মজেছেন পর্যটকরা
আগরতলার হেরিটেজ পার্কে এই খাদ্য উৎসবের আয়োজন করে ত্রিপুরার বনবিভাগ। সেখানে মূলত আদিবাসী, জনজাতি এবং জঙ্গল এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের খাবার বিক্রি করা হয়। বনবিভাগের আধিকারিকদের দাবি, এই খাবারের স্বাদ পেয়ে দারুণ খুশি আগরতলা এবং শহরের বাসিন্দারা।
ত্রিপুরার বন দফতরের প্রধান সচিব কে এস শেঠি বলেন, “এই আদিবাসী-জনজাতির লোকজন জঙ্গল একাকায় বাস করে সেখানের জীববৈচিত্র রক্ষা করে। তাঁরা তাঁদের রান্নায় তেল-মশলা ব্যবহার করেন না। তাঁরা স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে খাবার তৈরি করেন।”
Food Festival Kolkata: ট্যাক্সিতেই তৈরি হচ্ছে রোল, বাইকে বিরিয়ানি! মধ্যমগ্রামে অভিনব ফুড ফেস্টিভ্যাল
তিনি আরও জানিয়েছেন, “আমরা তাঁদের এবং জঙ্গলের এই খাবারগুলিকে শহরাঞ্চলে জনপ্রিয় করতে চাইছি। তাই এই ‘জঙ্গল খাদ্য উৎসব’-এর আয়োজন করা হয়। এর ফলে শহরের মানুষ পুষ্টিকর এবং জিভে জল আনা খাবারের স্বাদ পাবেন। সেইসঙ্গেই জঙ্গল এলাকায় বসবাসকারী মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নতিও হবে।” এই প্রসঙ্গে ত্রিপুরার প্রধান মুখ্য বনপাল Dr. Avinash Kanfade বলেন, “এই খাবারগুলি সবই জৈব পদ্ধতিতে তৈরি এবং পুষ্টিতে পরিপূর্ণ।”
উল্লেখ্য, বঙ্গই হল এক ধরনের ভাত। একটু চটচটে । জঙ্গলে পাওয়া কিছু গাছে পাতা মিশিয়ে তৈরি করা হয় এই খাবার। বাঁশের গুঁড়ি, বিভিন্ন ধরনের সব্জি, ঝাল লঙ্কা, পেঁয়াজ-এর সঙ্গে বিশেষ পদ্ধতির মাছ মিশিয়ে তৈরি করা হয় গডক। সিদ্ধ করা শূকরের মাংসের সঙ্গে পেঁয়াজকুচি, কাঁচা লঙ্কা, ধনে পাতা মিশিয়ে তৈরি করা হয় Wahan mosdeng (পর্ক ভর্তা)।
শীতের শুরুতেই স্ট্রিট ফুড ফেস্টিভ্যাল, ‘চাটপাটা’ চলবে ২৪ অবধি…
এছাড়াও বাঁশ, চালগুড়ি এবং গাঁজানো মাছ দিয়ে তৈরি Muya A wandru’, কাঁঠাল, পেঁপে, শূকরের মাংস এবং বাঁশের টুকরো দিয়ে তৈরি Muya bai Wahon’ জাতীয় খাবারও ওই আদিবাসীদের নিজস্ব।
ত্রিপুরার আদিবাসী উন্নয়নমন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা বলেন, “আমরা এই রাজ্যের নিজস্ব এবং ঐতিহ্যশালী খাবারগুলির সংরক্ষণ করতে চাইছি। এই আদিবাসী-জনজাতিদের আরও বিশেষ কিছু খাবার আছে, সেগুলিকেও সবার সামনে তুলে ধরতে চাইছি আমরা।”