Skip to content

বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনঃ হামলার অভিযোগ ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মুফতি মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের

বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনঃ হামলার অভিযোগ ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মুফতি মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের

সোমবার, ১২ জুন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম দাবি করেন,
তার ওপর হামলা করা হয়েছে এবং তাকে অনেক মারধরও করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে সকাল থেকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাতে দুই দফায় আক্রান্ত হয়েছে বলে দাবি করে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মুফতি মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে খবরে বলা হয়েছে, অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে বরিশাল মহানগর পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ পেয়েছি। প্রার্থীর ওপর যেই হামলা করে থাকুক তার বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গ্রেপ্তার করা হবে।“

বাংলাদেশের খুলনা সিটি কর্পোরেশন ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আ্ওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। খুলনা সিটিতে মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেনতালুকদার আব্দুল খালেক। আর, বরিশাল সিটিতে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আবুল খায়ের আবদুল্লাহ। সংশ্লিষ্ট সিটির নির্বাচনী কর্মকর্তারা বেসরকারিভাবে এই ফল ঘোষণা করেন।

বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি )নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত) ৮৭ হাজার ৮০৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।

আবুল খায়ের তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিমকে ৫৩ হাজার ৯৭৯ ভোটে পরাজিত করেছেন। সৈয়দ ফয়জুল করিম মোট ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট পেয়েছেন।

অন্য প্রার্থীদের মধ্যে, জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপস পেয়েছেন ৬ হাজার ৬৬৫ ভোট, স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. কামরুল হাসান রূপন পেয়েছেন ৭ হাজার ৯৯৯ ভোট এবং জাকের পার্টির প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান বাচ্চু পেয়েছেন ২ হাজার ৫৪৬ ভোট।

বরিশাল সিটি নির্বাচনে, ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৭ ভোটারের মধ্যে, ১ লাখ ৪২ হাজার ১৭৭ জন ভোট দিয়েছেন।রিটার্নিং অফিসারের তথ্য মতে, ভোটার উপস্থিতি ৫১ দশমিক ৪৬ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে।

বরিশাল সিটি নির্বাচনে ৭ জন মেয়র প্রার্থী, ১১৯ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী এবং ৪২ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

সূত্র: ভয়েজ অব আমেরিকা