Skip to content

বড় শিল্পগুলো অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করছে: প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

বড় শিল্পগুলো অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করছে: প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

বড় শিল্পগুলো অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি, অবৈধ গ্যাস সংযোগ বন্ধ করার জন্যব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান। ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-ডিসিসিআই এ অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে শনিবার (২০ মে) এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সেমিনারে টেক্সটাইল, তৈরি পোশাক খাত এবং বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা যখন কোনো কারখানায় পরিদর্শনে যাই, তখন দেখি সেখানে একটি বৈধ গ্যাস লাইন আছে। আর, মূল সংযোগ বাদ দিয়ে অনেক ক্ষেত্রে আরো তিনটি অবৈধ সংযোগ পাওয়া যায়।” তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, “অনুগ্রহ করে এসব অবৈধ গ্যাস সংযোগ বন্ধ করুন। আপনার অবৈধ সংযোগ অন্যান্য শিল্পকে তাদের গ্যাস ব্যবহারের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।”

প্রতিমন্ত্রী হামিদ আরো বলেন, “আমি সংশ্লিষ্ট শিল্পের তালিকা প্রকাশ করতে চাই না। অনেক বড় এবং নেতৃস্থানীয় শিল্পের নাম আছে, তারা খুবই প্রভাবশালী।”

বর্তমান পরিস্থিতি ও সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বলেন, “সরকার ৪ বছরের মধ্যে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরে ৪০০ কোটি ডলার ব্যয়ে একটি স্থল ভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। এটি জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।”

গ্যাস ও বিদ্যুতের পরিকল্পিত সরবরাহ নিশ্চিত করতে, সুনির্দিষ্ট শিল্পাঞ্চল ছাড়া সরকার কোনো শিল্প-কারখানা গড়ে উঠতে দেবে না বলে জানান প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, “সরকার বেসরকারি খাতকে জ্বালানি ব্যবসায় আসার অনুমতি দেবে, যাতে যেকোনো প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের পছন্দমতো আলোচ্য হারে গ্যাস আমদানি এবং যেকোনো শিল্পে তা সরবরাহ করতে পারে।”

সেমিনারে সারাদেশে গ্যাস অনুসন্ধানে অধিকতর গ্যাসের সন্ধান নিয়ে প্রতিমন্ত্রী ও অধ্যাপক বদরুল ইমামের মধ্যে বিতর্ক দেখা যায়। প্রতিমন্ত্রী বলেন যে দেশে গ্যাস নেই; নাকি দেশে আরো গ্যাস আছে, তা নিয়ে তিনি সন্দিহান।

এই মন্তব্যের জবাবে অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, দেশে গ্যাসের প্রাপ্যতা নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। কারণ ইউএসজিএস-সহ অনেক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান তাদের বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও তথ্য প্রমাণ করেছে যে দেশে এখনো ৩২ থেকে ৪২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ) গ্যাস মজুদ রয়েছে।

সূত্র: ভয়েজ অব আমেরিকা