এশিয়া বার্তা, ১৫ আগস্ট, ২০২১ : শোককে শক্তিতে পরিণত করে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় দেশের যুব সমাজসহ সবাইকে উদ্ধুদ্ধ করতে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো.জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজ শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের মানুুষের কাছে আদর্শ, অনুকরণীয় এক মহান নেতা হিসেবে সুপরিচিত। তিনি বলেন, দেশে-বিদেশে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে শিক্ষক ছাত্র ও যুব সমাজ গবেষণা করছে। বিশ্ব দরবারে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ আজ এক অভিন্ন নাম। মহান এই নেতাকে হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করেই আমাদের জন্য উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার তাঁর দেখা স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘‘৭৫-এর ১৪ আগস্ট বাংলাদেশের কাল রাত ও গণমাধ্যম এবং পেশাজীবীদের ভূমিকা’’ শীর্ষক এক অনলাইন আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এই আহবান জানান।
বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরাম (বিজেআরএফ) ও গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন যৌথভাবে শনিবার রাতে ভার্চুয়ালী এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সাংবাদিক অধিকার ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম ভুইয়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সাংবাদিক অধিকার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় দেশ ও বিদেশ থেকে অংশগ্রহণকারী আলোচকগণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গাজীপুুর মহিলা কলেজ ও পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও পেশাজীবী নেতা শিক্ষাবিদ এম.এ বারী, বাংলাদেশ থ্রোবল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শামীম আল মামুন, বিশিষ্ট সংগীতজ্ঞ গৌতম অরিন্দম শেলু বড়ুয়া, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সাংবাদিক এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল মতিন, বিশিষ্টি শিক্ষাবিদ অধ্যাপিকা পারভীন খাতুন, জাস্টিস ফর জার্নালিস্টের অন্যতম সমন্বয়ক এডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম ও চলচ্চিত্রকার ইউসুফ আল মামুন প্রমুখ।
আলোচনা অংশ নিয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো.জাহিদ আহসান রাসেল এমপি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মীনি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা, শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবের নীতি ও আদর্শ দেশের তৃণমূল মানুষের কাছে পৌঁঁছাতে গণমাধ্যমকর্মী ও পেশাজীবিরা বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে।
জনাব জাহিদ আহসান রাসেল আরো বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর পাশাপাশি সহধর্মীনি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, পুত্র শেখ কামাল ও শেখ জামালসহ তাঁর পুরো পরিবারের অনন্য সাধারণ ভূমিকা এবং ত্যাগের মহিমা রয়েছে। তাঁরাও বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। একটি সুখী ও সমৃদ্ধশীল দেশ গড়তে তাঁদের আদর্শে দেশের যুব সমাজকে গড়ে ওঠতে হবে।
ক্রীড়া ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় আনতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার জন্য কল্যাণ তহবিল গঠন করে বিশেষ সহায়তা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনারবাংলা প্রতিষ্ঠার কাজ এগিয়ে নিতে শোকাবহ আগস্ট মাসের এই দিনেই হোক আমাদের অঙ্গিকার।
তিনি বলেন, ৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানসহ স্বাধীনতা সংগ্রামের জনমত সৃষ্টিতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব সব সময় বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে বিশেষ পরামর্শ দিয়ে সাহস যুগিয়েছেন। তিনি বঙ্গমাতার বিশেষ ভূমিকার কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন,বঙ্গমাতার আদর্শ সবার কাছে পৌঁছে দিতে গণমাধ্যম কর্মীরা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।
অন্যান্য বক্তারা জাতীয় শোক দিবসের আগে কাল রাতের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে লালন করে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নীতি প্রচারে গণমাধ্যম কর্মী ও পেশাজীবীরা যাতে যথাযথ ভূমিকা পালন করে তার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে।