Skip to content

বগুড়ায় ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে খুন হন সাইদুর

বগুড়া জেলা

বগুড়ায় ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে সাইদুরকে হত্যা করেন মো. মাসুদ ওরফে ফারুক। গ্রেফতারের পর তিনি পুলিশের কাছে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

শনিবার (২০ মে) বেলা সাড়ে তিনটার দিকে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আখতার এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।

গ্রেফতার হওয়া ফারুক শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক কেকারপাড়া গ্রামের হানজালা প্রামাণিকের ছেলে এবং তিনি স্থানীয় একটি রড-সিমেন্টের দোকানে কাজ করেন।

এর আগে শনিবার (২০ মে) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কেকারপাড়া মোলামগাড়ী রাস্তার পা‌শ থেকে সাইদুর রহমানের লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি পেশায় একজন গ্রিল মিস্ত্রি ছিলেন। নিহত সাইদুর কিচক ইউনিয়নের ‌বেলাই গ্রামের শাহাদত হোসেন সাদ-এর ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে স্নিগ্ধ আখতার বলেন, সাইদুর ও ফারুক পূর্ব পরিচিত। তারা একসঙ্গে ঘোরাঘুরিও করত। শনিবার সকালে সাইদুরের লাশ উদ্ধারের পর দুপুর ১২টার দিকে কেকারপাড়া নিজ বাড়ি থেকে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ফারুক হত্যার কথা স্বীকার করেন।

ফারুকের বরাত দিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, সাইদুর বিভিন্ন সময় অহেতুক কারণে ফারুককে গালিগালাজ করত। তার সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে বাগবিতণ্ডাও হয়েছে। শুক্রবার(১৯ মে) রাতে কেকারপাড়া গ্রামের ধানক্ষেতের পাশের রাস্তায় কালভার্টের ওপরে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন সাইদুর। এমন সময় হঠাৎ করে সেখানে ফারুকের সঙ্গে তার দেখা হয়ে যায়। এ সময় আবারও তারা বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ফারুক তার কাছে থাকা চাকু দিয়ে সাইদুরের শরীরে একাধিক আঘাত করেন। এতে সাইদুরের মৃত্যু হয়। ওই সময় ফারুক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।

শিবগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনজুরুল আলম বলেন, ‘সাইদুর খুনের ঘটনায় ফারুককে একমাত্র আসামি করে নিহতের বড় ভাই সোহেল রানা মামলা করেছেন।’

এমইউ



বার্তা সূত্র