Skip to content

বগুড়ায় ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে তরুণীকে ধর্ষণ

বগুড়ায় ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে তরুণীকে ধর্ষণ


বগুড়ার শেরপুরে ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে (২৩) ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশের উপ-পরিদর্শ (এসআই) মিথুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের দড়িমুকুন্দ গ্রামের ধর্ষিতা ওই তরুণী বগুড়া জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন।

ইতোমধ্যে পুলিশের ওই এসআই মিথুন চক্রবর্তীকে সাময়িক বহিষ্কার করে জেলার আদমদিঘি থানা থেকে বগুড়া পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার বাড়ি শেরপুর জেলার সদর উপজেলার বয়ড়া পালপাড়া এলাকায়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে ওই তরুণীর স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর আইনি জটিলতা তৈরি হয়। তরুণীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ বিষয়টি সমাধান করে। এর জেরেই ওই সময় শেরপুর থানায় কর্মরত এসআই মিথুনের সাথে পরিচয় ঘটে তরুণীর। এরপর থেকে মিথুন বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তরুণীর সাথে যোগাযোগ করতেন। এ সময় সনাতন ধর্মের হয়েও এসআই মিথুন তার ধর্মীয় পরিচয় গোপন রাখেন। একপর্যায়ে ঘনিষ্ঠতা বাড়লে তারা সাক্ষাৎ করেন ও বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যান। মিথুন তাকে বিয়ে করবেন বলে প্রতিশ্রুতিও দেন। গত ৩ জুন তারা সাক্ষাৎ করে মিথুনের মোটরসাইকেলে চড়ে শহরের একটি রেস্টুরেন্টে বসে অনেকক্ষণ গল্প করেন।

এরপর বিকেলে দাওয়াত খাওয়ার কথা বলে তরুণীকে একটি বাড়িতে নিয়ে যান মিথুন। সেখানে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তরুণীর সাথে মিথুন শারীরিক সম্পর্ক করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

আরো জানা যায়, পরে মিথুনের ধর্মীয় পরিচয় জানতে পারেন ওই তরুণী। এরপরও এসআইকে বিয়ে করতে আগ্রহী হন তিনি। কিন্তু মিথুন তাতে রাজি হননি। এমনকি মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিষয়টি আপস-রফার চেষ্টা করেন। এমন অবস্থায় গত ২২ জুলাই ওই তরুণী পুলিশ সুপার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর মিথুনকে গত ৮ আগস্ট বগুড়ার আদমদীঘি থানায় বদলি করা হয়। তদন্তে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ৯ আগস্ট এসআই মিথুনকে সাময়িক বরখাস্ত করে আদমদীঘি থানা থেকে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।

সবশেষে বৃহস্পতিবার আদালতে মামলা করেন ওই নারী। অভিযোগ সম্পর্কে এসআই মিথুন চক্রবর্তী কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি।



বার্তা সূত্র