বিক্ষোভকারীদের দাবি, সেখানে আড়াই মাস ধরে চলা হিংসায় মদত দিচ্ছেন সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে তাঁদের অভিযোগ, এন বিরেন সিং মাফিয়াদের গডফাদার। এদিন সেখানে এই বিক্ষোভের আয়োজন করে ZORO। সেখানেই মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর পোস্টার পোড়ান তাঁরা। একই সঙ্গে পোড়ানো হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পোস্টারও।
Manipur Violence : অশান্তির আবহে কুকি নিকেশ গান, বিতর্কের মুখে মণিপুরের মেইতেই শিল্পী
উল্লেখ্য, গত ৩ মে তারিখ থেকে মণিপুরে হিংসা শুরুর পরে সেখানে একাধিক বার পোড়ানো হয় বিরেন সিংয়ের পোস্টার এবং কুশপুতুল। গত ৬ তারিখেও পোড়ানো হয় মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর পোস্টার। এদিন যে বিক্ষোভ দেখানো হয় তার লক্ষ্য মণিপুরে চলমান জাতিগত হিংসা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপের অভাবের নিন্দা করা। সেখানের ভ্যানপা হলের সামনে এই বিক্ষোভে পৃথক প্রশাসনের দাবিও তোলা হয়।
তাদের দাবি, সেখানে আড়াই মাস ধরে হিংসায় প্রায় ১৫০ জন মারা গিয়েছে। কিন্তু এখনও সেখানে শান্তি ফিরিয়ে আনার পরিবর্তে উপজাতিদের ওপর লাগাতার আক্রমণ এবং অত্যাচার করা হচ্ছে। সেখানে এই হিংসার পরেও কেন এখনও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নীরব তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওই সংগঠনের সভাপতি Pu R. Sangkawia।
Manipur Violence : অগ্নিগর্ভ মণিপুর, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এবার বাম প্রতিনিধি দল
তিনি বলেন, ‘কুকি রাও দেশের নাগরিক। পরিবারের প্রধান তার সন্তান এবং পরিবারের অন্যদের যত্ন নেন। প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রধান, কিন্তু এখানে উপজাতিদের প্রতি তাঁদের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।’ তাঁদের দাবি, সেখানে হিংসায় যারা মারা গিয়েছেন তাঁদের মধ্যে ১২৪ জনই উপজাতি এবং সেখানে আহত হয়েছেন ৩৭৭ জন। এখনও প্রায় ৬০জন নিখোঁজ বলে দাবি তাঁদের।
এই কারণে যো উপজাতিদের জন্য আবার আলাদা প্রশাসনের দাবি করেন তাঁরা। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগেই জানিয়েছেন সেখানে আলাদা প্রশাসন করার প্রয়োজন নেই। অন্যদিকে, এই পরিস্থিতির মধ্যেই মণিপুরে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল। আগামী শুক্রবার, তৃণমূল কংগ্রেসের চার সাংসদ মনিপুর যাবেন বলে জানানো হয়েছে।
Manipur Violence : ফের রক্তাক্ত মণিপুর, ইম্ফলে স্কুলের সামনে গুলি করে খুন মহিলা
তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে ওই দলে থাকবেন রাজ্যসভার সাংসদ Derek O’Brien এবং দোলা সেন। দলে থাকবেন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও।