Thursday, February 13, 2025

সপ্তাহে শীর্ষে

প্রাসঙ্গিক বার্তা

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জনসহ ৪৭ অভিযুক্ত খালাস

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ফাঁসির ৯ অভিযুক্তসহ সাজাপ্রাপ্ত ৪৭ অভিযুক্তকে খালাস দিয়েছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ। বাকি অভিযুক্তদের মধ্যে ২৫ জন যাবজ্জীবন এবং ১৩ জন ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত। সাজাপ্রাপ্ত সবাই বিএনপির নেতাকর্মী।

বৃহস্পতিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম ও বিচারপতি হামিদুর রহমানের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে অভিযুক্তদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান ও অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ।

এর আগে ৩০ জানুয়ারি এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত অভিযুক্তদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে ৫ ফেব্রুয়ারি রায়ের দিন ধার্য করা হয়েছিল।

রায়ের পর অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, বিচারিক আদালতের ওই রায় ছিল ‘প্রতিহিংসাপরায়ন সিদ্ধান্ত’। শেখ হাসিনাকে ‘খুশি করতেই’ ২০১৯ সালে পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ওই রায় দিয়েছিল। রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত সবাই ছিলেন বিএনপির নেতাকর্মী। হাইকোর্ট শুনানি নিয়ে সবাইকে খালাস দিয়েছে।

জানা যায়, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনযোগে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। পথে সভা করার কথা থাকলেও বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ তার নেতৃত্বে মামলার অন্য অভিযুক্তরা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঈশ্বরদী স্টেশন এলাকায় ট্রেনে গুলি ও বোমা বর্ষণ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

এ ঘটনায় ঈশ্বরদী জিআরপি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই দিনই একটি মামলা করেন। পরে মামলাটির তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল ৫২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এদের মধ্যে ৫ জন মারা গেলে তাদের চার্জশিট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

২০১৯ সালে ৩ জুলাই জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। সেই সঙ্গে ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর মেয়াদ কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়।

পরে মামলাটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে বিচারের জন্য পাঠানো হয়। পাশাপাশি খালাস চেয়ে আপিল করেন অভিযুক্তরা। এই ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর ৩০ জানুয়ারি শুনানি শেষ হয়। হাইকোর্ট সেদিন রায়ের জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করে।

–ভয়েজ অব আমেরিকা

পাঠক প্রিয়