Skip to content

ফরিদপুরে ২৯ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

ফরিদপুরে ২৯ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

রায় ঘোষণার ২৯ বছর পর গোপালগঞ্জ জেলা সদর এলাকায় চাঞ্চল্যকর চা দোকানদার সেকেন্দার শেখ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মো. মিজান ওরফে শাহিন নামের এই পলাতক আসামিকে গত বুধবার রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১০।

আজ শুক্রবার দুপুরে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাব-১০ এর কোম্পানি অধিনায়ক লে. কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার। গ্রেপ্তার মিজান (৪৬) গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠি গ্রামের মৃত ওয়াদুদ দফাদারের ছেলে।

জানা যায়, গোপালগঞ্জ জেলা সদর উপজেলার তেলিগতি এলাকার বাসিন্দা মৃত নজির শেখের ছেলে সেকেন্দার শেখ (৩০) কাঠি বাজারে চায়ের দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ১৯৯৪ সালের ১৪ জানুয়ারি রাতে সেকান্দার চা বিক্রি শেষে তাঁর নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন।

পথে কাঠি পশ্চিমপাড়া এলাকায় পৌঁছালে রাস্তার পাশে ৭-৮ জন লোককে বসে গাঁজা সেবন করতে দেখেন। সেকান্দার তাদের গাঁজা সেবনে বাধা দিলে মিজান ওরফে শাহিনসহ তার অন্যান্য সহযোগী মিলে সেকান্দারের উপর ক্ষিপ্ত হয়। এরপর এলোপাথাড়ি কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সেকেন্দার শেখের ভাই এনায়েত শেখ বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

র‌্যাব-১০ এর কোম্পানি অধিনায়ক লে. কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার বলেন, মামলা রুজুর বিষয়টি জানতে পেরে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাই আত্মগোপনে চলে যায়। তাদের মধ্যে মিজান ওরফে শাহিন মালয়েশিয়ায় পালিয়ে যান। দীর্ঘদিন মালয়েশিয়া অবস্থান করার পর দেশে ফিরে আসেন। পরে তিনি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নাম-পরিচয় গোপন করে বসবাস করতে থাকেন।

কে এম শাইখ আকতার আরও জানান, ঘটনাটি জানতে পেরে র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল চাঞ্চল্যকর চা দোকানদার সেকান্দার শেখ হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বুধবার রাতে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিজান ওরফে শাহিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।



বার্তা সূত্র