Skip to content

ফরিদপুরে নির্মাণাধীন সেতুর মাটি ধ্বসে ৩ জনের মৃত্যু—আহত ৪

ফরিদপুরে নির্মাণাধীন সেতুর মাটি ধ্বসে ৩ জনের মৃত্যু—আহত ৪

ফরিদপুরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে নির্মাণাধীন সেতুতে কাজ করার সময় মাটি ধ্বসে পড়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।

বুধবার (৩১ মে) দুপুর ১টার দিকে সদরপুর উপজেলার জমাদারডাঙ্গী এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন—ফরিদপুর সদর উপজেলার কবিরপুর এলাকার মো. অন্তর (২০), কুজুকদিয়া এলাকার জুলহাস মীর (২৪) এবং বাগেরহাট জেলার উদয়পুর গ্রামের মো. জাবের (২৮)।

এ ছাড়া, আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। তাদের সদরপুর ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, জেলার সদরপুর উপজেলার ভাষানচর ইউনিয়নের জমাদারডাঙ্গী এলাকায় একটি সেতুর কাজ চলছিল। এ সময় শ্রমিকেরা সেতুর নিচের অংশের রড বাধাঁর কাজ করার সময় সেতুর পাশে থাকা মাটির স্তুপ থেকে মাটি ভেঙে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই ৩ জনের মৃত্যু হয়।

এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় নিহত ও আহতদের উদ্ধার করা হয়।

সদরপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাষ্টার আব্দুস সালাম জানান, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ছুটে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করি।

এলজিইডির অর্থায়নে (জম্মাদার ভায়া সদরপুর) সড়কের এই সেতুর নির্মাণ কাজ করছে মেসার্স আসিফ ইমতিয়াজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের মালিক ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ফরিদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফের ভাই।

এ বিষয়ে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আহসান মাহমুদ রাসেল বলেন, আমরা খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।

এ কাজে কোনো ত্রুটি কিংবা কোনো অবহেলার বিষয় থেকে থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে সেতুতে কর্মরত শ্রমিক সরদার জানান, আমরা বারবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জানালেও তারা মাটি সরানোর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। মাটির পাশে গাইড দেওয়ার কথা বলা হলেও তারা করেনি। তারা উল্টো আমাদেরকে হুমকি দিয়ে কাজ করিয়ে নিচ্ছিল।

সদরপুরের এলজিইডির প্রকৌশলী আজিমউদ্দিন জানান, এই সেতুর নির্মাণ কাজ করছে মেসার্স আসিফ ইমতিয়াজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

তিনি বলেন, ২৫ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুর দরপত্রের মূল্য নির্ধারণ ছিল ৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা। আমারা নিয়মিত কাজের তদারকি করেছি। তারপরেও বিষয়টি আরও তদন্ত করে দেখা হবে, কেন বা কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল।

সূত্র: ভয়েজ অব আমেরিকা