বিগত নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিশ্রুত সংখ্যালঘুবান্ধব অঙ্গীকারগুলো বাস্তবায়ন না হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেছেন, দেশের সকল রাজনৈতিক দলই ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে রাজনীতির হাতিয়ার বানিয়েছে।
সরকারি দলের বিগত নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিশ্রুত সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব অঙ্গীকারসমূহ বাস্তবায়নের দাবিতে আগামী ২২-২৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণঅনশন ও গণঅবস্থান এবং ৬ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ কর্মসূচি সফল করতে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক আদর্শকে বিসর্জন দিয়ে দলগুলো বাংলাদেশকে আবারও সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্র, সংবিধান ও রাজনৈতিক আদর্শ সবকিছু বিসর্জন দিয়ে একটি বৈষম্যমূলক রাষ্ট্র বানানো হয়েছে। স্বাধীন রাষ্ট্রে বিভিন্ন রাজনেতিক ঘটনা প্রবাহের শিকার বানানো হয়েছে সংখ্যালঘুদের।
ভোটের রাজনীতিতে সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করা হলেও তাদের অধিকারের প্রশ্নে সকল রাজনৈতিক দল নিরব এমন অভিযোগ করে নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ গত নির্বাচনে তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব কিছু অঙ্গীকার করেছিল। কিন্তু আরেকটি নির্বাচন সমাগত হলেও প্রতিশ্রুতি পূরণের কোনো উদ্যোগ তারা নেয়নি। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলে সংখ্যালঘুদের মনে যে ক্ষোভের সঞ্চার হবে, তার প্রভাব আগামী নির্বাচনে পড়বে।
সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মতি লাল রায়ের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার রায়, কিশোর রঞ্জন মণ্ডল, রবীন্দ্রনাথ বসু, তপন চক্রবর্তী, সুবীর দত্ত, বাপ্পাদিত্য বসু, প্রদীপ কুমার দাস, চন্দন ভৌমিক, রামানন্দ দাস প্রমুখ।