Skip to content

পোস্টে তুলে ইলেকট্রিক লাইন সারানোয় জোরাজুরি! বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু কিশোরের

পোস্টে তুলে ইলেকট্রিক লাইন সারানোয় জোরাজুরি! বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু কিশোরের

পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে ইলেকট্রিক পোস্টে উঠে লাইন সারাই করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক আদিবাসী কিশোরের। পোস্টের উপর মৃতের দেহ ঝুলতে থাকল আট ঘন্টারও বেশি সময় ধরে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ মানুষ জন। যে ব্যক্তির কারণে ওই কিশোর পোস্টে উঠেছিল তাঁকে পোস্টে উঠে মৃতদেহ নামানোর দাবি করেন স্থানীয়রা। আর এই দাবি নিয়ে স্থানীয় মানুষ সন্ধ্যা পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখান। পরে দোষী ব্যক্তিকে গ্রেফতারের বিষয়ে পুলিশের তরফে আশ্বাস দেওয়া হলে দেহ নামাতে দেওয়া হয়। কিশোরের মর্মান্তিক এই মৃত্যুর ঘটনায় পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আর এই মৃত্যুর ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে গ্রামের এক ব্যক্তি সুকুমার দাসের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার সকালে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রাম থানার চন্দ্রী অঞ্চলের আউসপাল গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ওই কিশোর সুজন সোরেনের (১৯)। সে চন্দ্রী চন্দ্র শেখর হাই স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করার পর একতাল হাইস্কুলে ভোকেশনাল নিয়ে পড়াশোনা করত। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন তার পরীক্ষা ছিল। সকাল নটা নাগাদ সাইকেলে বইয়ের ব্যাগ নিয়ে পরীক্ষার জন্য স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। জানা গিয়েছে, সোমবার ঝড়বৃষ্টির কারণে ওই এলাকার কয়েকটি বাড়িতে কারেন্ট ছিল না।

আরও পড়ুন: চ্যাট লক করা, ফলোয়ার কাউন্ট, ১২টি নয়া ফিচার, WhatsApp ব্যবহারকারীদের জন্য চমক!

আরও পড়ুন: বছরে লক্ষাধিক টাকা বাঁচবে, কমবে ট্রাক চালকদের উদ্বেগও, নতুন ডিজেল আনল জিও-বিপি!

আউসপাল গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, সুকুমার দাস স্কুল যাওয়ার পথে সুজনকে দাঁড় করায় এবং তাকে বিদ্যুৎ পোস্টে উঠে লাইনটি ঠিক করে দেওয়ার জন্য বলেন। উল্লেখ্য, সুজন টুকটাক ইলেকট্রিকের কাজ করত। অভিযোগ, সুজন পরীক্ষা দিয়ে এসে কাজ করার কথা বলেছিল। কিন্তু তাকে জোর করে পোস্টে তোলা হয়। ওই পোস্টে দুটি ট্রান্সফর্মারের লাইন রয়েছে। কিন্তু সুজন একটি লাইনের কারেন্ট বন্ধ করেছিল। কিন্তু অপর লাইনটি চালু ছিল, সে বুঝতে পারেনি। লাইনে হাত দিতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় সে এবং পোস্টের উপরেই ঝুলন্ত অবস্থায় মারা যায়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এলাকার মানুষ। দেহ নামাতে দেওয়া হয়নি।

ঘটনা স্থলে পৌছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। কিন্তু স্থানীয় মানুষ দাবি করতে থাকেন, সুকুমার দাসকেই ইলেকট্রিক পোস্টে উঠে দেহ নামাতে হবে। সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও দেহ ঝুলতে থাকে পোস্টে। শেষ পর্যন্ত গ্রামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে এবং গ্রেফতার করা হবে বলে অশ্বাস দিলে মৃতদেহ নামাতে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, বিদ্যুৎ খুঁটিতে বিদ্যুৎ দফতরের লোকজন ছাড়া অন্য কেউ উঠতে পারে না। এটা বেআইনি।

এই বিষয়ে ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কল্যাণ সরকার বলেন, ‘‘গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে দেহ নামানো হয়েছে। ইলেকট্রিক পোস্টে ওঠা বেআইনি। যে ওই কিশোরকে পোস্টে উঠিয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ অন্যদিকে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার ডিভিশন্যাল ম্যানেজার মৌমিত মাঝি বলেন, ‘‘ইলেকট্রিক পোস্ট-সহ আমাদের সংস্থার যে কোনও সম্পত্তির উপর কেউ হাত দিতে পারে না। পুরো বিষয়টি আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানাবো। বাকি বিষয় নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। ওই গ্রামে যে কোনও বিদ্যুৎ সমস্যা ছিল, তা আমাদের দফতরে জানানো হয়নি।’’

আপনার শহর থেকে (পশ্চিম মেদিনীপুর)

পশ্চিম মেদিনীপুর

পশ্চিম মেদিনীপুর

Published by:Teesta Barman

First published:

Tags: Electrocution, Teenager

বার্তা সূত্র