Skip to content

পৃথক প্রশাসনের দাবি! এবার মণিপুরে পড়ল হোর্ডিং

পৃথক প্রশাসনের দাবি! এবার মণিপুরে পড়ল হোর্ডিং
আগেই মণিপুরকে দুভাগ করার এবং আদিবাসীদের জন্য আলাদা প্রশাসন করার দাবি উঠেছিল। এই দাবি করেছিলেন মণিপুরের কুকি বিধায়করা। তাদের এই দাবিকে সমর্থন করে সেখানের আদিবাসী সমাজ। নাগাল্যান্ডের শাসকদল সহ একাধিক সংগঠনও এই দাবিকে সমর্থন করে।

কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পরিষ্কার করেই জানিয়ে দিয়েছেন, মণিপুর রাজ্য ভেঙে আলাদা প্রশাসন করা হবে না। বিধায়ক এবং অন্যদের এই দাবি মানা ‘অসম্ভব’ বলেও জানিয়ে দেন তিনি। কিন্তু মণিপুরে স্বাভাবিক অবস্থা ফেরার বদলে নতুন করে অশান্তি শুরু হয়েছে। নতুন করে এই হিংসা শুরুর পরেই আলাদা প্রশাসন করার দাবি আবার জোরালো হয়েছে।

Manipur Violence : অশান্তিতে লাগাম টানতে গঠিত শান্তি কমিটি, বয়কটের ডাক মণিপুরের আদিবাসী সংগঠনের
সেই সঙ্গেই এবার পৃথক প্রশাসনের দাবিতে এবার হোর্ডিং পড়েছে মণিপুরে। মঙ্গলবার রাতেই হামলা হয় কাংপোকপির খামেনলোক গ্রামে। সেখানে গুলিতে অন্তত ৯জন মারা গিয়েছেন এবং ১১ জন আহত হয়েছেন। তারপরেই পৃথক প্রশাসনের দাবিতে হোর্ডিং দেখা গিয়েছে মণিপুরের চুড়াচাঁদপুর জেলার এলাকায়

সেখানের লমকা সহ আশেপাশের এলাকায় এই হোর্ডিং দেখা গিয়েছে। একটি বা দুটি নয়, পৃথক প্রশাসনের দাবি জানিয়ে অনেকগুলি বড় আকারের হোর্ডিং দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর এই হোর্ডিং দেওয়া হয়েছে Kuki-Zo সম্প্রদায়ের তরফে। কারণ সেখানের আদিবাসী এবং জনজাতি মানুষের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার স্বার্থে আলাদা প্রশাসন দাবি করে তাঁরা।

Manipur Violence Reason : মণিপুরের সংকটের জন্য দায়ী বিদেশিরা! তদন্তের আর্জি আদিবাসী সংগঠনের
এই সঙ্গে সবার জন্য ন্যায়বিচার, ন্যায্য সাম্য, অত্যাচারমুক্ত একটি ন্যায়পরায়ণ ও শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক সমাজ এবং সুশাসনের দাবি করে কুকি উপজাতির লোকজন। বুধবার যে হোর্ডিং দেওয়া হয়েছে তাতেও মূলত এই দাবিগুলিই করা হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে ‘শান্তির আগে ন্যায়বিচার; বিচ্ছেদই সমাধান’ (JUSTICE PRECEDES PEACE; SEPARATION IS THE SOLUTION)।

এই হোর্ডিং দিয়ে তাদের আগের দাবির কথাই বোঝাতে চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানের বাসিন্দারা। এদিন সেখানের একেবারে প্রকাশ্য স্থানে, বড় বাড়ির মাথায় এই হোর্ডিংগুলি দেওয়া হয়। অন্যদিকে, এই একই দাবিতে মণিপুরের রাজ্যপালের কাছে চিঠি দিয়েছে আদিবাসীদের সংগঠন Indigenous Tribal Leaders’ Forum (ITLF)।

Manipur Kuki Meiti : কাজে এল না শাহের শান্তি কমিটি! বয়কটের ডাক কুকি-মেইটি সম্প্রদায়ের
মণিপুরের রাজ্যপাল Anusuya Uikeyকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে Meitei এবং Kuki-Zo দের পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় হিংসা থামানোর একমাত্র পথ। কারণ এই দুই পক্ষের মধ্যেই অবিশ্বাস জন্ম নিয়েছে। তাই আলাদা প্রশাসন ছাড়া শান্তির ফেরানোর রাস্তা নেই।

যদিও অমিত শাহ দাবি করেছিলেন যে সবপক্ষের আলোচনাতেই সমাধানের রাস্তা বার হবে এবং তাদের মধ্যে থাকা অবিশ্বাস দূর হবে।

বার্তা সূত্র