Skip to content

পাহাড়ে প্রবারণা উৎসব

পাহাড়ে প্রবারণা উৎসব

বর্ণিল আয়োজনে প্রবারণা উৎসব পালন করেছেন বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীরা। সোমবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি, লামা, আলিকদম, রুমাসহ সাত উপজেলায় পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে এ উপলক্ষে শুরু হয় নানা আয়োজন।

ড্রাগনের আদলে রথ টানায় মধ্য দিয়ে শুরু হয় উৎসব। রাতের আকাশে উড়ানো হয় রং বেরংয়ের শত শত ফানুস। সন্ধ্যায় বৌদ্ধ মন্দিরে মন্দিরে (ক্যায়াং) জ্বালানো হয় হাজারো প্রদীপ।

উৎসব উপলক্ষে রবিবার ও সোমবার সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত নতুন পোশাক পরে খ্যংওয়া ক্যাং, খ্যংফিয়া ক্যাং, রাম জাদি, করুণাপুর বৌদ্ধ বিহার, বুদ্ধ ধাতু জাদি, রাম জাদি, সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহার, আম্রকানন বিহারসহ ধর্মীয় ক্যাং বা বিহারগুলোতে প্রার্থনা ও ছোয়াইং দান করেন বৌদ্ধ অনুসারীরা। প্রার্থনায় অংশ নেন বৌদ্ধ ধর্মের হাজারো অনুসারী।

এছাড়া রাতে মারমা তরুণ-তরুণীরা আদিবাসী অধ্যুষিত পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে ঘুরে গান করেন, ফানুস উড়ান ও পিঠা-পুলি তৈরিতে সহায়তা করেন।

সন্ধ্যায় শুরু হওয়া রথযাত্রায় আদিবাসী মারমারা তাদের বিশেষ গান, “ছংরাসিহ্ ওয়াগ্যোয়াই লাহ্ রাথা পোয়েঃ লাগাইমে..” (সবাই মিলে মিশে রথযাত্রায় যায়..) পরিবেশন করেন। তাদের সঙ্গে যোগ দিতে পাংখো (এক ধরণের পুতুল) নৃত্য পরিবেশন করতে করতে শত শত আদিবাসীরা রাস্তায় নেমে আসেন। রথে জ্বালানো হয় হাজার হাজার মোমবাতি ও দান করা হয় নগদ অর্থ। 

উৎসব উপলক্ষে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং স্থানীয় রাজার মাঠ থেকে ফানুস উত্তোলন করেন।

প্রবারনা উৎসব (ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ) উৎযাপন কমিটির সভাপতি হ্লাএমং থেওয়াং মারমা বলেন, “প্রতি বছরের মতো এবারও নির্বিঘ্নে ওয়াগ্যোয়াই পালন করা হচ্ছে।”

তিন মাসব্যাপী বর্ষাবাস শেষের পর বৌদ্ধ অনুসারীরা ও শীল পালনকারীরা প্রবারণা পূর্ণিমার দিনে (ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ) বৌদ্ধ বিহার থেকে নিজ সংসারে ফিরে যান। এ কারণে আদিবাসীদের কাছে এই দিনটি বেশ তৎপর্যপূর্ণ।

সোমবার মধ্য রাতে রথ টানার মধ্যে দিয়ে ও মধ্যরাতে শঙ্খ (সাঙ্গু) নদীতে রথ উৎসর্গ করার মধ্যে দিয়ে এই বর্নিল উৎসবের ইতি টানা হয়।

পাহাড়ের বর্ণিল এই উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর বান্দরবানে পর্যটকদের আগমন হয়।



বার্তা সূত্র