নগর উপাখ্যান-পার্সিভ আয়োজিত ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ভলান্টিয়ার্স প্রোগ্রাম ২০২৩-এর দশ দিনব্যাপী কর্মশালায় ভলান্টিয়ার দলটি পঞ্চম দিন বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারে পৌঁছে।
সকালে তারা স্থানীয় পাহাড়পুর আদিবাসী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে নলেজ শেয়ারিং পর্বে অংশগ্রহণ করে। এর আগে অংশগ্রহণকারীরা নিজ নিজ পরিদর্শন কর্তৃক পুরাতাত্ত্বিক এলাকা ও স্থাপনা বিষয়ে উপস্থাপনা তুলে ধরেন।
এদিন প্রফেসর মঞ্জুর রসিদ “4D capturing as a method for recording and dynamically narrating historical monuments” বিষয়ে আলোচনা করেন। এরপর বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজমের বিভাগীয় প্রধান এস এম মুজাহিদুল আলম “Tourism development incorporating Paharpur” শিরোনামে এবং শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির স্থাপত্য অনুষদের ডিন ড. হোসনে আরা রহমান “Re-adaptive use of heritage buildings around Dhaka City” শিরনামে দু’জন আলাদাভাবে দুটো বক্তৃতা দেন।
ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ভলান্টিয়ার প্রোগ্রামের এবছরের প্রতিপাদ্য হলো— “টেরাকোটা ইন্টারপ্রিটেশন অফ দ্যা বুদ্ধিস্ট বিহার অ্যাট পাহাড়পুর, বাংলাদেশ”।
কর্মশালাটি আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত কুমিল্লা ও নওগাঁর পাহাড়পুর ঘুরে ঢাকার চারুকলা টেরাকোটা কর্মশালা ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ল্যাবরেটরি ব্যবস্থাপনা পরিদর্শনের মাধ্যমে শেষ হবে।
এর আগে ৪ অক্টোবর ভলান্টিয়াররা পরিদর্শন করে কুমিল্লার শালবন বিহার ও জাদুঘর। এটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী দল সাইটটি পর্যবেক্ষণ শেষে তাদের সুপারিশমালা প্রতিবেদনে যুক্ত করবেন বলে আয়োজকদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এবারের আয়োজনের মিডিয়া পার্টনার হিসেবে আছে বাংলা ট্রিবিউন।