Skip to content

পাটনায় বিজেপি বিরোধী বৈঠকের প্রভাব বাংলার রাজনীতিতে পড়বে না! কিভাবে ব্যাখ্যা অধীরের?

পাটনায় বিজেপি বিরোধী বৈঠকের প্রভাব বাংলার রাজনীতিতে পড়বে না! কিভাবে ব্যাখ্যা অধীরের?

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ২৩ জুন পাটনায় ১৬টি বিজেপি বিরোধী দলের বৈঠক হয়। যাতে উপস্থিত ছিল তৃণমূল, সিপিআইএম, কংগ্রেস সহ আরও অন্যান্য দলের প্রতিনিধিরা। রাজ্যের তৃণমূলের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়ছে সিপিআইএম-কংগ্রেস। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের আবহে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এর কোনও প্রভাব পড়বে না, এমনটাই মত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর।

রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এক হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে বাম-কংগ্রেস। এই তিন দলকেই আবার বিজেপি বিরোধী জোটে দেখা গেল। প্রশ্ন উঠছে জাতীয় রাজনীতির জন্য বাংলার মানুষ কি বাম-কংগ্রেস ও তৃণমূলের আঁতাত মেনে নেবে? নাকি আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে? একদিকে দ্বন্দ্ব অন্যদিকে মিত্রতা, সব মিলিয়ে মানুষ যেন জটিল ধাঁধার সম্মুখীন হয়েছে। তবে শীর্ষ নেতাদের দাবি জাতীয় স্তরের রাজনীতির সাথে রাজ্যের রাজনীতি গুলিয়ে ফেললে চলবে না।

রবিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রথম থেকেই লড়ছে। বিজেপির ‘ভারত তোড়ো’ নীতির বিরুদ্ধে রাহুল গান্ধী ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা করেছেন। এবার পটনায় নীতিশ কুমার বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তাই কংগ্রেস গেছে। সেই বৈঠকে মমতা ব্যানার্জিও গিয়েছিলেন। তাতে আমার কী করার আছে? কংগ্রেস না গেলে সকলে বলতো বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে কংগ্রেস উদাসীন।’

তিনি আরও বলেন, একজনের বাড়ি, সে কাকে ডাকবে আর কাকে ডাকবে না সেটা একান্তই তার ব্যাপার। এই বৈঠকও তাই। বিয়েবাড়িতে তো অনেকেই যায়। আপনার সাথে যাঁর বিরোধ তিনিও যেতে পারেন। সেখানে আপনার বলার তো কিছু নেই। অনেকে বলছে রাজ্যে লড়াই করছে আবার পাটনায় গিয়ে পাশাপাশি বৈঠক করছে। এতে রাজ্যে প্রত্যক্ষ কোনো প্রভাব পড়বে না।

উল্লেখ্য, বর্তমানে পঞ্চায়েত ভোটের আবহে প্রতিদিনই বাম-কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষের খবর সামনে আসছে। ২০২৪ লোকসভায় বিজেপির বিরুদ্ধে জোট করে তৃণমূল, বাম ও কংগ্রেস যদি লড়াই করে, বাংলায় সেই জোট ঠিক কতটা গ্রহণযোগ্য হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

বার্তা সূত্র