Sunday, March 16, 2025

সপ্তাহে শীর্ষে

প্রাসঙ্গিক বার্তা

পাকিস্তানে সংঘর্ষে ৪ সৈন্য ও ১৫ বিদ্রোহী নিহত

শনিবার পাকিস্তান জানিয়েছে, গোলযোগপূর্ণ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় দুটি জেলায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চলছে। অভিযান পরবর্তী সংঘর্ষে একজন অফিসারসহ ৪ জন সৈন্য এবং ১৫ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছে।

সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের বাহিনী আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী ডেরা ইসমাইল খান ও উত্তর ওয়াজিরিস্তানের বিদ্রোহী ঘাঁটিগুলোতে “গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে” অভিযান চালালে এই ভয়াবহ সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।

বিবৃতিতে, নিহত বিদ্রোহীদের “খোয়ারিজ” হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান বা টিটিপির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য এই নাম ব্যবহার করে পাকিস্তান সরকার। টিটিপি বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃত।

স্থানীয় নিরাপত্তা সূত্রগুলি জানিয়েছে, ওয়াজিরিস্তান এলাকায় সংঘর্ষে ওই সেনারা নিহত হয়।

জঙ্গি হতাহতের সরকারি দাবির সত্যতা নিরপেক্ষ কোন সুত্র থেকে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। টিটিপি সংঘর্ষের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। সেখানে জঙ্গি গোষ্ঠীরা নিরাপত্তা বাহিনী ও তাদের স্থাপনার উপর নিয়মিত আক্রমণ করে থাকে।

টিটিপি নেতা এবং যোদ্ধারা পার্শ্ববর্তী দেশের তালিবান সরকারের নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে আফগানিস্তান আর পাকিস্তানের সীমান্তে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে, অভিযোগ পাকিস্তানের। তালিবান সরকার এখনও অন্য দেশগুলো থেকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পায়নি।

এসব অভিযোগ কাবুলে ডি ফ্যাক্টো আফগান নেতাদের সাথে ইসলামাবাদের সম্পর্কের টানাপোড়েন সৃষ্টি করেছে। যদিও তালিবান সরকার তাদের অঞ্চলে টিটিপি বা অন্য কোনও বিদেশী সন্ত্রাসী সংগঠনের উপস্থিতি বার বার অস্বীকার করেছে।

জাতিসংঘের অ্যানেলিটিকাল সাপোর্ট এন্ড স্যাংকশান্স মনিটরিং টিমের এ সপ্তাহে আর্ও আগের দিকে প্রকাশিত সর্বসাম্প্রতিক প্রতিবেদনে ইসলামাবাদের উদ্বেগকে তুলে ধরা হয় যেখানে বলা হয়েছে যে টিটিপি পাকিস্তান ও আফগান অঞ্চলগুলিতে তাদের আক্রমণ “ লক্ষ্যযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি” করেছে।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে যে আফগানিস্তানে তালিবান কর্তৃপক্ষ “ টিটিপিকে প্রায়োগিক ও অভিযানের জায়গা করে দিচ্ছে এবং আর্থিক সহায়তাও প্রদান করছে। এতে আরও বলা হয়েছে যে এই গোষ্ঠীটি “ একাধিক নতুন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র” গঠন করেছে কুনার, নানগারহার, খোস্ত ও পাখতিকা প্রদেশে এবং একই সাথে “ আফগান তালিবানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে টিটিপি ক্যাডারে লোক ভর্তির সংখ্যা বাড়িয়েছে”।

জাতিসংঘের মূল্যায়নে ২০২১ সালে দেশটি আবার তালিবানের নিয়ন্ত্রণে যাবার পর আল ক্বায়দা এবং আফগানিস্তানে তত্পর ইসলামিক স্টেটের সংযুক্ত গোষ্ঠীগুলির কাছ থেকে সন্ত্রাসবাদের ক্রমবর্ধমান হুমকির উপর ও জোর দেওয়া হয়।

–ভয়েজ অব আমেরিকা

পাঠক প্রিয়