Skip to content

পাকিস্তানে আইএস জঙ্গিদের নিশানায় শিখ সম্প্রদায়, প্রকাশ্যে খুন যুবক

Sikh trader shot dead in Peshawar: শনিবার রাতে পাকিস্তানের পেশোয়ারে গুলি করে হত্যা করা হল শিখ সম্প্রদায়ের এক ব্যবসায়ীকে। হত্যার দায় স্বীকার করেছে আইএস জঙ্গি গোষ্ঠী।

বাঁদিকে – নিহত মনমোহন সিং, ডান দিকে – ঘটনাস্থলে পাক পুলিশ

পেশোয়ার: ফের পাকিস্তানে অজ্ঞাত পরিচয় জঙ্গিদের হাতে খুন হলেন সংখ্যালঘু শিখ সম্প্রদায়ের এক ব্যবসায়ী। শনিবার (২৪ জুন), রাতে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমের শহর পেশোয়ারে মোটরবাইকে করে দুই অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকধারী ওই ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। নিহত ব্য়ক্তির নাম মনমোহন সিং, বয়স ৩৫ বছর। পেশোয়ারের কাকশাল এলাকার গুলদারা চকে থাকতেন তিনি। শনিবার রাত ৮টা নাগাদ তিনি যখন বাড়ি ফিরছিলেন, সেই সময়ই মোটরবাইকে করে এসে ওই দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। তাঁকে দ্রুত এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তবে বাঁচানো যায়নি। এই নিয়ে, গত দুই দিনে পাকিস্তানে শিখ সম্প্রদায়ের উপর দ্বিতীয় হামলা হল। স্থানীয় পুলিশ কর্তাদের মতে, সম্ভবত ধর্মীয় পরিচয়ের কারণেই হত্যা করা হয়েছে মনমোহন সিং-কে। তবে ই বিষয়ে আরও তদন্তের প্রয়োজন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে, এই হামলার দায় নিয়েছে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠী।

এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে ইসলামিক স্টেট। তারা বলেছে, নিহত মনমোহন সিং পেশোয়ারের এক বিশেষ শিখ সম্প্রদায়ের অনুগামী ছিলেন। এই সম্প্রদায় বহুদেবতায় বিশ্বাসী। আর এই কারণেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার পেশোয়ারেই শিখ সম্প্রদায়ের আরও এক ব্যক্তির উপর হামলা হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে ওই ব্যক্তির নাম তরলোগ সিং, দাগ্গারির বাসিন্দা। গুলদারা এলাকাতেই তাঁর উপর গুলি চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও, গুরুতর আহত হয়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই শিখ ব্যক্তির পায়ে গুলি লেগেছিল। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। অস্ত্রোপচারের পর, শনিবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেই হামলার দায়ও স্বীকার করেছে আইএসআইএস।

GHORER BIOSCOPE COUNTDOWN
বস্তুত, চলতি বছরে এই নিয়ে পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় শিখ সম্প্রদায়ের তৃতীয় ব্যক্তির প্রাণ গেল। গত মাসে, লাহোরে সর্দার সিং নামে এক ব্য়ক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছিল জঙ্গিরা। তার আগে এপ্রিলে, পেশোয়ার শহরেই দয়াল সিং নামে আরও এক শিখ সম্প্রদায়ের সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। ২০২২ সালের মে মাসে একই শহরে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন শিখ সম্প্রদায়ের আরও দুই সদস্য। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময়, শিখ সম্প্রদায়ের হাজার হাজার ব্যক্তি পাকিস্তানে থেকে গিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন পর্যন্ত পাকিস্তানে শান্তিতেই ছিলেন তাঁরা। তবে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে পাকিস্তানে বেছে বেছে সংখ্যালঘু শিখ, খ্রিস্টান, হিন্দু এবং আহমদি সম্প্রদায়ের সদস্যদের উপর হামলা শুরু হয়েছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলির সদস্যরা বারে-বারেই পাকিস্তানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দুরবস্থা নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্তাজিক গোষ্ঠীগুলিতে সরব হয়েছেন।



বার্তা সূত্র