মঙ্গলবার পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ রাজধানী ইসলামাবাদের একটি আদালতের বাইরে দেশটির বৃহত্তম জাতীয় রাজনৈতিক দলের নেতা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতার করেছে।
৭০ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদকে তার বিরুদ্ধে কথিত সন্ত্রাস, দুর্নীতি, রাষ্ট্রদ্রোহ এবং অন্যান্য ফৌজদারি অপরাধ থেকে শুরু করে ডজনখানেক মামলার শুনানির জন্য উচ্চ আদালতের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
ইমরান খানের দল তাদের নেতার গ্রেফতারের নিন্দা করেছে।
বিরল এক প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানে জার্মানির রাষ্ট্রদূত বলেছেন, তিনি ইমরান খানের গ্রেপ্তারের “ছবি বিলির বিষয়ে উদ্বিগ্ন”।
পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআই-এর একজন সিনিয়র জেনারেল কীভাবে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে, তার নতুন বিবরণ দিয়ে ইমরান খান অভিযোগ করার কয়েক ঘন্টা পরেই এই গ্রেপ্তার করা হয়।
সবচেয়ে জনবহুল পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোরের কাছে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেয়ার সময় গত নভেম্বরে ইমরান খানকে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। এতে তিনি আহত হন।
ইমরান খান আইএসআই-এর মেজর-জেনারেল ফয়সাল নাসিরকে তার ওপর হত্যার প্রচেষ্টার একজন পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিহিত করেছিলেন।
সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, একা একজন বন্দুকধারী হত্যার এই প্রচেষ্টা চালায়। তিনি এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন এবং বিতর্কিতভাবে গণমাধ্যমে ফাঁস হওয়া একটি ভিডিওতে তিনি তার অপরাধ স্বীকার করেছেন।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ২০২২ সালের এপ্রিলে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছিল। এই পদক্ষেপকে তিনি অবৈধ বলে প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন, বর্তমানে অবসর নেয়া সামরিক বাহিনীর সাবেক প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া এই পদক্ষেপটি নিয়েছিলেন।
তার গ্রেপ্তারের ফলে পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশটির রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।