Monday, February 17, 2025

সপ্তাহে শীর্ষে

প্রাসঙ্গিক বার্তা

পাকিস্তানি জঙ্গিদের সঙ্গে মামুনুলের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ, কাতার দুবাই সিঙ্গাপুর থেকে টাকা আসতো

হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের সঙ্গে পাকিস্তানের জঙ্গিদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। কাতার, দুবাই এবং সিঙ্গাপুর থেকে তার কাছে বিকাশের মাধ্যমে টাকা আসতো। রিমান্ডে থাকা মামুনুল হকের কাছ থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হারুনুর রশিদ।

আজ বরিবার (২৫ এপ্রিল) তিনি আরও বলেন, ২০০৫ সালের দিকে ভগ্নিপতি নেয়ামতউল্লাহর মাধ্যমে পাকিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেন মামুনুল হক। তিনি ২০০৫ সালে পাকিস্তানে যান। সেখান থেকে পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে দেশের বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলা, অগ্নিসংযোগ ও সংহিংসতার ঘটনা ঘটান। এছাড়া সরকার উৎখাতে মামুনুল সব ধরনের পরিকল্পনা করেছিলেন।

ডিসি হারুন জানান, পাকিস্তানে ৪০ দিন অবস্থান করেন মামুনুল হক। সেখান থেকে জঙ্গি ও উগ্রবাদী মতাদর্শ নিয়ে দেশে ফেরেন তিনি। মামুনুল হক হেফাজতকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চেয়েছিলেন। কওমি মাদরাসার ছাত্রদের ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফয়দা নেওয়ার পায়তারা করছিলেন এই হেফাজত নেতা। রিমান্ডে শাপলা চত্বরে যাওয়া থেকে শুরু করে অনেক কথার বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেনি তিনি। এছাড়াও বিভিন্ন বক্তব্যের বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। ডিসি হারুন বলেন, ভগ্নীপতি নেয়ামত উল্লাহর মাধ্যমে পাকিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ হয় মামুনুলের। বঙ্গবন্ধুর খুনি মেজর ডালিম হচ্ছেন মামুনুল হকের আপন ভায়রার ভাই। পাকিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠী, গ্রেনেড হামলার আসামি এবং জামায়াতের শীর্ষ দুই নেতার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে কওমি মাদরাসার ছাত্রদের ব্যবহার করে সরকার উৎখাতের ছক এঁকেছিল মামুনুল হক। তার ভাই মাহফুজুল হকের কোনো মামলায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আগের দিন পুলিশের অপর এক কর্মকর্তা জানান, মামুনুল স্বীকার করেছেন, সংগঠনের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতেই উগ্রপন্থি বক্তব্য দিয়েছেন। বারবার এটাও বলেছেন, জোশের বশেই নানা ব্যাপারে কথা বলতেন তিনি। পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, মামুনুলের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ২৩টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় করা হয় ১৮টি। ২৩ মামলার মধ্যে ২০১৩ সালের হেফাজত তাণ্ডবের পর রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১৫টি মামলায় তার নাম রয়েছে। এসব মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পর্যায়ে মামুনুলকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে রিমান্ড আবেদন করবেন। এরই মধ্যে হেফাজতের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সহসভাপতি খুরশিদ আলম কাশেমী, ঢাকা মহানগরের সহদপ্তর সম্পাদক ইহতেশামুল হক সাখীসহ কয়েকজনের সামনাসামনি করে মামুনুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একই বিষয়ে হেফাজতের নেতারা পৃথকভাবে ও যৌথ জিজ্ঞাসাবাদে কী ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন তা যাচাই করতে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

পাঠক প্রিয়