Skip to content

পশ্চিম ভারতের মহারাষ্ট্রে ভূমিধস, ১৩ জন মৃত, চাপা পড়ে শতাধিক, জরুরি ভিত্তিতে চলছে উদ্ধারকাজ

পশ্চিম ভারতের মহারাষ্ট্রে ভূমিধস, ১৩ জন মৃত, চাপা পড়ে শতাধিক, জরুরি ভিত্তিতে চলছে উদ্ধারকাজ

সমগ্র উত্তর ভারত প্রবল বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিধ্বস্ত। এবার বিপদ বাড়ছে পশ্চিম ভারতেও। গুজরাতে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। দিল্লি, পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশের পর এবার মহারাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার ২০ জুলাই সকালে একটানা বৃষ্টির জেরে রায়গড় জেলর খালাপুর তহসিলের ইরশালওয়াড়ি গ্রামে আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ধস নামে। তাতে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। ১০০-রও বেশি মানুষ ধসের জেরে আটকা পড়েছেন বলে প্রশাসনিক সূত্রে অনুমান।

সংবাদ সূত্রের খবর, এদিন ভোরবেলা যখন ধস নামে, তখন গ্রামবাসীরা সকলেই ঘুমোচ্ছিলেন। সেই কারণেই ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। ঘটনার সময় কয়েকটি শিশু মোবাইলে গেম খেলার জন্য গ্রামের বাইরে গিয়েছিল, কারণ গ্রামের ভিতরে মোবাইল নেটওয়ার্ক ভাল কাজ করে না। ধস নামার ঘটনা প্রথমে তাদেরই চোখে পড়ে। তারাই দৌড়ে গ্রামে এসে যে কয়েক জনকে পারে খবর দেয়। অন্তত ৪৮টি বাড়ি ধসের কারণে ভেঙে পড়েছে এবং কুড়িটি বাড়ি কাদামাটির তলায় চাপা পড়েছে বলে এখনও প্রশাসনের তরফে জানা গেছে।

পশ্চিম ভারতের মহারাষ্ট্রে ভূমিধস, ১৩ জন মৃত, চাপা পড়ে শতাধিক, জরুরি ভিত্তিতে চলছে উদ্ধারকাজ

জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দুটি দল দ্রুত উদ্ধারকাজের জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়।

পাহাড়ের চূড়ায় যেখানে ধস নেমেছিল সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে আসার জন্য ট্রেকিং এক্সপার্টদের খবর দেওয়া হয়।

পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ১২টি দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া হৃদরোগের কারণে একজন উদ্ধারকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে নিজে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এসেছেন। উদ্ধারকাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে আপৎকালীন কন্ট্রোলরুম পরিদর্শনে গিয়েছিলেন উপ মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে মৃতদের পরিবারপিছু ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছেন ইতিমধ্যেই। আহতদের চিকিৎসার ভারও সরকার নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সূত্র: ভয়েজ অব আমেরিকা