পশ্চিম ভারতের মহারাষ্ট্রের কোলাপুরে গত বুধবার, ৭ জুন দুই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা ছড়ায়। পরিবেশ এখন শান্ত, তবে পরিস্থিতি থমথমে। গত বুধবারের অশান্তিতে জড়িত সন্দেহে পুলিশ ৩৯ জনকে গ্রেফতার করেছে।
কোলাপুরে অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল ভারত ইতিহাসের মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবকে নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাস দেওয়ায়। তিন নাবালিকা মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের ছবির সঙ্গে সুখ্যাতি করে কিছু কথা লেখে। তাতেই প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হ্য কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা। বিবাদ ছড়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। হিন্দুরা শহরের শিবাজী চকে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকে। পাল্টা জমায়েত করে মুসলমানরা। দু পক্ষই ইট-পাথর ছোঁড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠি চালায়। বন্ধ রাখা হয় ইন্টারনেট পরিষেবা।
এদিকে, কোলাপুরের সাম্প্রদায়িক অশান্তি থামলেও ওই ঘটনা নিয়ে রাজনীতির পারদ চড়ছেই। শুক্রবার মহারাষ্ট্রর এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে মেসেজ পাঠানো হয়েছে তাঁর মেয়ে সাংসদ সুপ্রিয়া সুলের ফোনে। একই সময় শিবসেনার উদ্ধব গোষ্ঠীর নেতা আর এক সাংসদ সঞ্জয় রাউত ও তাঁর বিধায়ক ভাইকেও মোবাইলে খুনের হুমকি মেজেস পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, কোলাপুরের ঘটনাকে হাতিয়ার করে পাওয়ার সরাসরি রাজ্যের শিবসেনা (একনাথ গোষ্ঠী)-বিজেপি জোট সরকারকে নিশানা করেছেন। তাঁর বক্তব্য, রাজনৈতিক স্বার্থে সরকার এই ধরনের সাম্প্রদায়িক অশান্তিকে প্রশয় দিচ্ছে।
ওই ঘটনা নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন পাওয়ার, সঞ্জয়রা। পাওয়ার বলেন, শুধু কোলাপুর নয়, সাম্প্রতিকালে একাধিক ঘটনা ঘটল মহারাষ্ট্রে। রাজ্যে এত সাম্প্রদায়িক হানাহানি ছিল না। তাঁর অভিযোগ, সরকারই পরিকল্পিতভাবে এই ধরনের হিংসায় উস্কানি দিচ্ছে বিভাজন প্রসারিত করতে।
শুক্রবার ৯ জুন সকালে পাওয়ারের কন্যা সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে-র মোবাইলে হুমকি মেসেজ আসার পর তিনি মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার বিবেক ফানসালকারের সঙ্গে দেখা করেন। হস্তক্ষেপ দাবি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ড-এর।