এশিয়া বার্তা, ১৯ আগস্ট: বিপুল পরিমাণ অর্থ সম্পদ নিয়ে কাবুল থেকে পলাতক আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি শেষ পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে ঠাঁই পেয়েছেন । তালেবানদের কাবুল দখলের প্রেক্ষাপটে তিনি তার দেশবাসীকে কিছু না জানিয়ে পালিয়ে যান এবং আরব আমিরাতে অবস্থানের সুযোগ পান ।
তালেবানরা দেশটির রাজধানী কাবুল দখল করার পর ওই দিনই (১৫ আগস্ট, রোববার ) আশরাফ ঘানি প্রথমে পার্শ্ববর্তী দেশ তাজিকিস্তানে যান, কিন্তু সেখানকার সরকার তাঁকে গ্রহণ করেনি। পরে আরব আমিরাতে ঠাঁই পেয়েছেন। দেশ ছেড়ে পালানোর সময় আশরাফ ঘানি ৪টি গাড়ি ও হেলিকপ্টার ভর্তি নগদ অর্থ নিয়ে পালিয়েছেন বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হয়েছে । হেলিকপ্টার এবং গাড়িতে জায়গা না ধরায় বাদবাকি টাকা তিনি রাস্তার ধারে ফেলে রেখে যান বলে জানা যায়।
এদিকে, তাজিকিস্তানে অবস্থিত আফগান দূতাবাসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, আশরাফ ঘানি রোববার যখন দেশ ছেড়ে যান তখন তিনি সঙ্গে করে ১৬ কোটি ৯০ লক্ষ ডলার নিয়ে যান। দেশটিতে নিযুক্ত আফগান রাষ্ট্রদূত মোহম্মদ জহির আগবার এমন দাবি করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, এ সময় আশরাফ ঘানির আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়াকে ‘দেশ ও জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা’ বলেও বর্ণনা করেন তিনি। তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবে-তে অবস্থিত আফগান দূতাবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জহির আগবার।
পাশাপাশি তিনি এ ঘোষণাও দেন যে, দূতাবাসের পক্ষ থেকে সাবেক ডেপুটি প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহকে আফগানিস্তানের অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছেন তিনি। এর আগে আমরুল্লাহ সালেহ নিজেকে আফগানিস্তানের বৈধ তত্ত্বাবধায়ক প্রেসিডেন্ট দাবি করেন। যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে, সর্বশেষে তথ্যে জানা গেছে, পলাতক আশরাফ ঘানিকে আশ্রয় দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রভাবশালী ও ধনী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটি মানবিক কারণে সাবেক আফগান প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানিয়েছে। ঘানির সঙ্গে তার পরিবারের সদস্য এবং ক্ষমতায় থাকাকালে ঘনিষ্ঠ সঙ্গীদের কয়েকজনও আছেন বলে খবর দিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন।