ঢাকাই সিনেমার বিতর্কিত নায়িকা পরীমণিকে গ্রেপ্তারের পর তার মোবাইল ফোন থেকে পুলিশ অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে । সেই তথ্য অনুযায়ী পরীমনির ৬ সহযোগীকে খোঁজাসহ তাকে আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা ২ প্রভাবশালী ব্যক্তির বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে গোয়েন্দারা।
শুধু তাই নয় পরীমণির সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, প্রভাবশালী শিল্পপতি, পদস্থ কর্মকর্তা এবং রাজনীতিকসহ অন্তত ১২ জন সন্ত্রাসীর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পরীমণি, নজরুল ইসলাম রাজ, মৌ-পিয়াসা এবং মিশুক ও জিসান গ্রেপ্তারের পর ঢাকার অপরাধজগতের সঙ্গে জড়িতরা গা-ঢাকা দিতে শুরু করেছেন। বিশেষ করে যেসব প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এতদিন পরীমণিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন তারা এখন নিজেদের আড়াল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। শুধু তাই নয় কেউ কেউ আবার নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে সবার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (ডিবি-উত্তর) হারুন অর রশিদ জানান, পরীমণিকে আমরা কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ ও তার মোবাইল থেকে বেশকিছু তথ্য পেয়েছি। পরীমণি যেসব অবৈধ কাজ ও ব্যবসা করতেন, সেগুলো কাদের নিয়ে করতেন, কাদের সহযোগিতায় করতেন, কারা তার নেপথ্যে রয়েছে, আমরা তাদের নাম পেয়েছি। তার বক্তব্য নোট করছি। যারাই তার সঙ্গে জড়িত ছিল তাদেরই গ্রেপ্তার করা হবে।
অন্যদিকে তদন্তসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, পরীমণির বিরুদ্ধে বিভিন্ন পার্টিতে অংশ নিয়ে ‘বিশেষ সঙ্গ’ দেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এমনকি তার ব্যবহৃত গাড়িটিও এক রাজনৈতিক দলের নেতা কিনে দিয়েছিলেন। এছাড়া বিদেশে বসবাসকারী বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে পরীমনির যোগসূত্র রয়েছে।
গ্রেপ্তারের পর পরীমণির মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি ও শিল্পপতির সঙ্গে তার যোগাযোগ এবং বিশেষ সম্পর্ক থাকার তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয় পরীমনির সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক কর্মকর্তার নিয়মিত যোগাযোগের তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারী সংশ্লিষ্টরা। তাছাড়া অনেক রাজনীতিবিদ ও সন্ত্রাসীকেও অর্থের বিনিময়ে ‘বিশেষ সঙ্গ’ দিতেন তিনি।