যাতায়াত ব্যাবস্থার দিক থেকে বিশ্ব দিন দিন উন্নতির শিখরে উঠছে। একসময় ছিল সড়ক ব্যবস্থা যাতায়াতের একমাত্র দ্রূততম মাধ্যম। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে আকাশপথে ছাড়িয়ে নতুন টেকনোলজির কথা ভাবছে পুরো বিশ্ব। আর সেই দিক থেকে সবথেকে এগিয়ে রয়েছে ভারত (India) দেশ।
বর্তমান সময়ে যাতায়াতের যে টেকনোলজি নিয়ে চর্চা হচ্ছে তা হলো হাইপারলুপ (Hyperloop)। এই টেকনোলজির মাধ্যমে যে কোনো ব্যাক্তি বা বস্তুকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তীব্রতার সাথে পৌঁছে দেওয়া যাবে। আর পরিবেশের উপর হাইপারলুপের যে প্ৰভাব পড়বে তা নূন্যতম। ভারতে হাইপারলুপ সিস্টেম শুরু হলে পরিবহন ব্যাবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে তথা মাত্র কয়েক ঘন্টায় ভারতের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব হবে।

বলা হচ্ছে এই প্রজেক্টে কাজের দিক থেকে সবথেকে এগিয়ে ভারত এবং আগামী দিনে ভারত পুরো এই সিস্টেমকে বিশ্বজুড়ে নেতৃত্ব দেবে। বিশেষজ্ঞদের দাবি হাইপারলুপ সিস্টেমের উপর ভারতে যে অনুপাতে কাজ ও আগ্রহ দেখা যাচ্ছে তা কোনো দেশে নেই।
সম্প্রতি হাইপারলুপের টেকনোলজি নিয়ে নীতি আয়োগের সদস্য বি.কে সারস্বত বলেছেন, ভারতের আল্ট্রা হাইস্পীড যাত্রার জন্য হাইপারলুপ টেকনিক নিজের ডিজাইন নিয়ে নামার ক্ষমতা রাখে। হাইপারলুপ টেকনোলজির সাহায্যে কয়েক হাজার কিলোমিটার রাস্তা মাত্র কিছুসময়ের মধ্যেই সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

মহারাষ্ট্র রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ হাইপারলুপ প্রজেক্ট শুরু করার প্রথম প্রয়াস শুরু করেছিলেন। তিনি মুম্বাই থেকে পুনের পরিবহন ব্যবস্থায় হাইপারলুপ সিস্টেম ইন্সটল করার উপর কাজ শুরু করেছিলেন। যা এখন 2024 সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এখন সেই প্রজেক্ট বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে তার কারণটা মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যে নতুন মুখ্যমন্ত্রী পদ সামলেছেন যে কারণে হাইপারলুপ প্রজেক্ট বস্তাবন্দি হয়ে ঠাণ্ডা ঘরে চলে গেছে। যদিও মহারাষ্ট্রের হাইপারলুপ পরিবহন প্রণালীর উপর কেন্দ্রের নজর রয়েছে এবং প্রজেক্ট সম্পূর্ণ করার প্রয়াস চোখে পড়ছে।