সম্প্রতি পদ্মা সেতুর পিলারে কয়েক দফা ফেরির ধাক্কার ঘটনা ঘটে। এ অবস্থায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ-রুটে বন্ধ করে দেয়া হয় ফেরি চলাচল। ফলে বিকল্প হিসেবে ফেরি চলাচলে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও চাঁদপুর-শরিয়তপুর রুট ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়।
গতকাল শুক্রবার (১৩ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ পরামর্শ দেয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।
এতে বলা হয়, নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর পিলারে সম্প্রতি কয়েক দফা ফেরি ধাক্কা দেয়ার পর প্রচণ্ড স্রোতের কারণে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ জুলাই সকালে প্রথম মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে আসার পথে পদ্মা সেতুর ১৭ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে রো রো ফেরি শাহজালালের। এতে ফেরির ২০ যাত্রী আহত হন।
৯ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাংলাবাজার থেকে ছেড়ে আসা ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা খায়।
সবশেষ গতকাল শুক্রবার (১৩ আগস্ট) সকাল পৌনে ৭টার দিকে বাংলাবাজার ঘাট থেকে শিমুলিয়া ঘাটে আসার পথে কাকলি নামে একটি ফেরি পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়। প্রতিটি দুর্ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয় ফেরির মাস্টার ও সুকানিকে।
পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কার পর মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাট, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুট এবং শরীয়তপুরের মাঝিরকান্দিঘাট পরিদর্শন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতু এখন বাস্তবতা। পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা অনেক বড় কথা। এ সেতুতে আঘাত যেন আমাদের হৃদয়ে আঘাত। এতে হালকা আঘাত লাগলেও আমরা এটাকে হালকাভাবে দেখছি না। আমরা এতে বিব্রত হচ্ছি। দায়িত্বে উদাসীনতার কারণগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পদ্মা সেতু পুরোপুরি চালু হলে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটের বাঁধ রক্ষায় শরীয়তপুরের জাজিরায় মাঝির ঘাটে ফেরিঘাট স্থানান্তরের বিষয়টি পরিকল্পনায় রয়েছে।’