রবিবার (১১ জুলাই) দিবাগত রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের জগদল দক্ষিণ গোয়ালপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পরে ঘটনা জানতে পেরে সদর থানা পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় ৪ সন্ত্রাসী আসামিকে আটক করে।
সোমবার (১২ জুলাই) বিকেলে এ ঘটনায় চারজনকে আসামি করে পঞ্চগড় সদর থানায় ৩ জনের নামে পর্নোগ্রাফি আইনে ও ১ জনের নামে নারী শিশু নির্যাতন আইনে (ধর্ষণ) দুটি মামলা দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূ ও তার স্বামী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রবিবার দিবাগত রাতে চা বাগানের চা পাতা কাটার কথা বলে ওই গৃহবধূর স্বামীকে ডেকে নিয়ে যায় একই এলাকার জয়নুল, রনি, নুর হোসেন ও শাহিন নামে চার যুবক। পরে তারা চা বাগানের কাছে গেলে ওই গৃহবধূর স্বামীর পরনের লুঙ্গিসহ কাপড়-চোপড় খুলে নিয়ে উলঙ্গ করে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে এলাকায় ও ইন্টারনেটে ভিডিওটি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। ওই গৃহবধূর স্বামী টাকা দিতে অস্বীকার করলে জয়নুল, রনি, নূর হোসেন ও শাহীন একে একে তাকে বলাৎকার করে। পরে জয়নুল ভূক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে জোরপূর্বক ঘরের ভিতর ঢুকে কিছু টাকা পয়সা লুটপাট করে। ঘরে ঘুমিয়ে থাকা চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ চেতন হলে তাকে বিভিন্ন রকম ভয় ভীতি ও হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় জয়নুল।
এদিকে সকালে পরিবারের লোকজন ভূক্তভোগী স্বামীকে বাড়িতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজির পর বাড়ি থেকে বেশকিছু দূরে তাকে দেখতে পায়। পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে লজ্জিত অপমানিত ওই স্বামী পুরো বিষয়টি তাদের খুলে বলেন। এদিকে ওই অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূও ধর্ষণের বিষয়টি তার স্বামীকে জানান।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আক্কাছ আহম্মেদ জানান, এ ঘটনায় ওই চারজনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা হয়েছে। নুর হোসেন, রনি ও শাহিন নামে তিন যুবকের নামে পর্নোগ্রাফি আইনে ও জয়নুলের নামে নারী শিশু নির্যাতন আইনে (ধর্ষণ) দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।