Skip to content

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হলে সংখ্যালঘুরা নতুন করে ভাবতে বাধ্য হবে: রাণা দাশগুপ্ত

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হলে সংখ্যালঘুরা নতুন করে ভাবতে বাধ্য হবে: রাণা দাশগুপ্ত

আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিসমূহ বাস্তবায়নের জন্যে সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত।

তিনি বলেছেন, ‘অন্যথায় আগামী সংসদ নির্বাচনে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘুরা সংসদ নির্বাচনের পূর্বে নতুন করে ভাবতে বাধ্য হবে।’

শনিবার (৬ মে) চট্টগ্রাম সংগঠনের বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রকৌশলী পরিমল কান্তি চৌধুরীর সভাপতিত্বে নগরীর মোমিন রোডস্থ মৈত্রী ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের মোট ১৩টি জেলা ও মহানগ‌রের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।

সভায় অ্যাডভোকেট দাশগুপ্ত সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিচালিত মানবাধিকার আন্দোলনের এক পর্যায়ে সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের বিবরণ দিয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ওপরে আমরা শেষ ভরসা রাখতে চাই। তিনি তার নির্বাচনী অঙ্গীকারগুলো অচিরেই বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে আশা প্রকাশ করি।’

অ্যাডভোকেট দাশগুপ্ত ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু ভোটারদের অবজ্ঞা, অবহেলা ও উপেক্ষা না করার জন্য সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে ব্যালট পেপার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত কোনো চাপে নেওয়া হয়নি: সিইসি

কেন্দ্রীয় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মিলন কান্তি দত্ত তার বক্তব্যে দাবি আদায়ে আলোচনার পাশাপাশি জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সভায় কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ বলেন, ‘লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাবো না।’সভায় বক্তারা সম্প্রতি নেত্রকোণায় স্কুলছাত্রী মুক্তি রাণী বর্মণের হত্যাকাণ্ডে গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং এ ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তির শাস্তি নিশ্চিতের জোর দাবি জানান।

প্রতিনিধি সভায় বক্তব্য রাখেন- অ্যাডভোকেট নিতাই প্রসাদ ঘোষ (চট্টগ্রাম মহানগর), অ্যাডভোকেট প্রদীপ চৌধুরী (চট্টগ্রাম দক্ষিণ), ইন্দু নন্দন দত্ত (চট্টগ্রাম উত্তর), অ্যাডভোকেট বিনয় ভূষণ মজুমদার ও অ্যাডভোকেট রঞ্জিত রায় চৌধুরী (চাঁদপুর), শংকর মজুমদার ও অ্যাডভোকেট মিলন মণ্ডল (লক্ষ্মীপুর), চন্দন কুমার রায় ও অধ্যক্ষ তাপস কুমার বক্সী (কুমিল্লা), মুক্তিযোদ্ধা বিনয় কিশোর রায় ও অ্যাডভোকেট পাপ্পু সাহা (নোয়াখালী), শুকদেব নাথ তপন ও লিটন সাহা (ফেনী), মুক্তিযোদ্ধা দিলীপ কুমার নাগ ও প্রদ্যুৎ কুমার নাগ (ব্রাহ্মণবাড়ীয়া), অনিল দাশ ও মং নেই চেং (বান্দরবান), অ্যাডভোকেট দীপংকর বড়ুয়া ও অধ্যাপক প্রিয়তোষ শর্মা (কক্সবাজার), দীপেন কুমার ঘোষ ও পলাশ কুসুম চাকমা (রাঙ্গামাটি), বিপ্লব কুমার শীল (খাগড়াছড়ি) প্রমুখ।

কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট প্রিয় রঞ্জন দত্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক উত্তম চক্রবর্তী ও শ্যামল কুমার পালিত, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শুভ্রদেব কর, শরৎজ্যোতি চাকমা, উত্তম কুমার শর্মা, গৌতম মজুমদার, সুবীর দত্ত প্রমুখ।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে আ.লীগের মনোনয়ন পেলেন নোমান আল মাহমুদ

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে: সিইসি

বার্তা সূত্র