মাস্টার নাচিয়ে নায়ক গোবিন্দর প্রেম প্রত্যাশী অগণন। কত মেয়ে যে গোবিন্দ প্রেমে একতরফা পুরে মরেছে, কতজনের মন যে তিনি নাচিয়েছেন তার কি কোন হিসেব আছে? না, নেই। যাকে নিয়ে অমন প্রেমের মরা, তিনি কিন্তু বিষয়টি বেশ ভালোই আঁচ করেছেন। কখনোবা ওদের ছায়া তার চেতনাকেও নাড়িয়ে দিয়েছে। কাছে থেকে একটুখানি দেখা, খানিকটা স্পর্শের কাতরতায় পাগলপারা হওয়া মেয়ের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয় ! বহু মেয়ে ইশ্বররূপী গোবিন্দের সঙ্গেই মনেপ্রাণে এই গোবিন্দকে গুলিয়ে ফেলতেন।
সিনেমায় নিজের পরিচয় ভাঁড়িয়ে প্রেমিক কিংবা প্রেমিকার মন পেতে কোটিপতির সন্তানদের বাসন মাজা কিংবা গাড়িচালকের কাজ নেওয়ার গল্প তো অনেক দেখেছেন-শুনেছেন। বলিউড তারকা গোবিন্দ ‘হিরো নাম্বার ওয়ান’ সিনেমায় নিজেও কোটিপতি বাবার ছেলে হয়ে কারিশিমা কাপুরের মন পেতে কাজ নিয়েছিলেন তার বাড়িতে।
সিনেমার গল্প নয়, প্রেমে ডুবে মরা, পাগলপারা হওয়া অসংখ্য মেয়ের একজনের বাস্তব জীবনকথা বলছিলেন গোবিন্দ। বিত্তবান ঘরের সুন্দরী কোটিপতি সেই মেয়ে। যিনি গোবিন্দকে ভালোবেসে প্রেমমগ্ন হয়ে তার বাড়িতে বাসন মাজার কাজ নিয়েছিলেন।
ওই মেয়েটির নামপরিচয় কখনো প্রকাশ করেননি গোবিন্দ কিংবা তার স্ত্রী সুনীতা। তবে এক সাক্ষাৎকারে ঘটনাটি স্বীকার করে নিয়েছিলেন।
অভিনয়, নাচ সব মিলিয়ে বলিউডে তখন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে নায়ক গোবিন্দ। অসংখ্য ভক্ত তার। গোবিন্দর সেই গুণমুগ্ধদের একজন ছিলেন ওই নারী। ইচ্ছে ছিল যে করেই হোক গোবিন্দকে বগলদাবা করবেন, বিয়ে করবেন। তিনি জানতেন না, বলিউডে জনপ্রিয়তা পাওয়ার অনেক আগেই ১৯৮৭ সালে গোবিন্দর বিয়ে হয়ে গিয়েছিল।
যদিও গোবিন্দর বিবাহিত হওয়ার খবর তখনও বলিউডের কেউই জানতেন না। ক্যারিয়ারের স্বার্থেই এই খবর লুকিয়ে রেখেছিলেন গোবিন্দ। তা নিয়ে তার স্ত্রীরও কোনো আপত্তি ছিল না।
গোবিন্দর বিবাহিত হওয়ার খবর ওই নারীও জানতেন না। তিনি গোবিন্দর বাড়ির ঠিকানা জোগাড় করে চলে যান। নিজেকে তিনি পরিচারিকা হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। গোবিন্দ এবং তার মায়ের কাছে নিজের অসহায়ত্বের কথা বলে পরিচারিকার কাজ পান।
ওই নারী গোবিন্দর বাড়িতে বাসন মাজার কাজ পেয়েছিলেন। গোবিন্দর প্রেমে ঝিয়ের কাজও সে কারণেই মুখ বুজে করছিলেন তিনি। তবে তার কাজ গোবিন্দর মায়ের একদম পছন্দ হচ্ছিল না। আসলে তিনি ঠিকমতো বাসন মাজতেও পারতেন না।
একদিন কোটিপতি বাবার সাথে মেয়েটির কথোপকথন গোবিন্দর স্ত্রী সুনীতা শুনে ফেলেন। কথা শুনে সুনীতার সন্দেহ হলে গোবিন্দকে সব জানান তিনি।
পরে গোবিন্দ মেয়েটির সাথে কথা বলে আসল বিষয়টি জানতে পারেন। মেয়েটির বাবার সাথে যোগাযোগ করে বাড়ি পাঠিয়ে দেন তাকে।
মেয়েটির বাবা বড় ব্যবসায়ী ছিলেন। মেয়েটি ভেবেছিলেন পরিচারিকা হয়ে ঢুকে গোবিন্দর সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে তারপর তাকে নিজের প্রকৃত পরিচয় দিয়ে প্রেম প্রস্তাব দেবেন। তবে গোবিন্দ বিবাহিত জানতে পেরে মনে বড় চোট পান ওই নারী ।