রবিবার নারায়ণগঞ্জের বারদিতে লোকনাথ বাবার আশ্রমে তাণ্ডব চালায় এক যুবক। আশ্রমের ভিতরে ঢুকে মহাদেবের মূর্তির সাপ ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্ত।
আশ্রম কর্তৃপক্ষের দাবি, রবিবার সকালে প্রথা মেনে মহাদেবকে স্নানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ওই সময় আচমকাই মূর্তির গায়ে উঠে পড়ে ওই যুবক। হাত দিয়েই মূর্তির সাপটিকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন তিনি।
Bangladesh Movies : সিনেমা দেখার জন্য কান্না কাটি, হাত-পা ধরছেন পরিচালক? লজ্জায় মুখ লোকাচ্ছেন নায়ক-নায়িকা
ঘটনার আকস্মিকতায় প্রথমটায় হকচকিয়ে গেলেও দ্রুত ওই যুবককে নামিয়ে আনেন আশ্রমিকরা। পরে তাঁকে স্থানীয় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, হিন্দুদের মূর্তি ভাঙচুর বা মন্দিরে হামলার জেরে বারবার খবরের শিরোনামে এসেছে বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ। গত বছর এই জেলারই একটি মন্দিরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। মূর্তি ভাঙার পাশাপাশি মন্দিরে আগুন ধরিয়ে চম্পট দেয় তারা।
বিষয়টি নজরে আসার পর দ্রুত পদক্ষেপ করেন মন্দিরের পূজারি। পার্শ্ববর্তী পুকুর থেকে জল নিয়ে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন তিনি। তাঁকে সাহায্য করতে ছুটে আসেন স্থানীয়রাও। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল মূর্তিটি।
Bangladesh Trending News : বাঙালি ছোকরার প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে বিয়ের প্রস্তাব মালয়েশিয়ার তরুণীর, মুরগি-দইয়ে মজে নতুন মেম বউ
এছাড়া গত বছর পুজোর সময়ও দুর্গামন্দিরে তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। বড়িশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাশীপুর সার্বজনীন দুর্গামন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ পুলিশের দাবি, রাতে মন্দির বন্ধ থাকার সময় তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকেছিল দুষ্কৃতীরা। পরদিন সকালে পুজোর সময় মূর্তি ভাঙচুরের বিষয়টি সকলের নজরে আসে। ঘটনার পর CCTV ফুটেজের সূত্র ধরে তদন্তে নামে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত বছরের মার্চে রাজধানী ঢাকার লালমোহন সাহা স্ট্রিটের ISKCON মন্দিরে সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা ঘটে। ১৫০ থেকে ২০০ জনের একটি বাহিনী মন্দিরে ঘিরে ফেলে তাণ্ডব চালায়। ভেঙে ফেলে একের পর এক মূর্তি। এছাড়া মন্দিরের ভাঙচুর চালায় তারা। বাধা দেওয়ায় আক্রান্ত হন মন্দিরের পূজারি থেকে সেবায়েতরা।
Bangladesh News : সেতু ভেঙে নদীতে! ৩০ কোটির ক্ষতি উল্লেখ করে চালকের মামলা দায়ের
ওই হামলার নেপথ্যে ৬২ বছরের কট্টরপন্থী নেতা হাজি সফিউল্লাহর হাত রয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। ওই ঘটনার পর হিংসা বরদাস্ত করা হবে না বলে কড়া বার্তা দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, গত এক বছরে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর কট্টরপন্থীদের হামলার পরিমাণ বেড়েছে। গত এক বছরে শতাধিক এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।