Skip to content

নওগাঁয় শাস্ত্রীয় ও আদিবাসী নৃত্য উৎসব অনুষ্ঠিত

শুক্রবার রাতে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এ নৃত্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

নাচের শুদ্ধ সংস্কৃতি ও শ্রদ্ধাচার চর্চায় নওগাঁয় হয়ে গেল শাস্ত্রীয় ও আদিবাসী নৃত্য উৎসব। শুক্রবার রাতে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে স্থানীয় নৃত্য সংগঠন ‘ত্রিতাল’ এর আয়োজনে এই নৃত্য উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
শাস্ত্রীয় ও আদিবাসী নৃত্য শিল্পদের নৃত্যের ছন্দে মুখর হয়ে উঠেছিল অডিটোরিয়ামটি। শাস্ত্রীয় ও আদিবাসী আঙ্গিকের নৃত্যে সজ্জিত এ আয়োজনে নওগাঁ, বগুড়া ও ঢাকার শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করেন। এ সময় দর্শনার্থীরা বর্ণিল এই নৃত্য আনন্দ-উল্লাসে উপভোগ করেন। অনুষ্ঠানে নওগাঁর সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ত্রিশূল’ নৃত্য সংগঠনের পরিবেশনায় আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য দর্শকদের আরও বেশি আনন্দ দেয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে এই উৎসব উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

এ সময় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতির বিকাশ ঘটানো ছাড়া বাংলাদেশ থেকে মৌলবাদ ঠেকানো যাবে না। কারণ সংস্কৃতি কর্মকাণ্ড মানুষকে উদার করে তোলে। যারা সাংস্কৃতিক চর্চা করে না তাদের মধ্যে সংকীর্ণতা কাজ করে।

তিনি আরও বলেন, সংস্কৃতি চর্চা না থাকার কারণে যুব সম্প্রদায় মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে। যার ফলে যুব সম্প্রদায়ের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় বেশি বেশি সংস্কৃতিক চর্চা করা।

প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে শিল্পকলা একাডেমির কার্যক্রম সম্প্রসারিত করেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় সাংস্কৃতিক দলগুলোর সারাদেশে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

অনুষ্ঠানে নওগাঁ ড্যাফোডিলস জুনিয়র হাইস্কুলের অধ্যক্ষ মাহবুব আলম ছানার সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ফৌজিয়া হাবিব খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস,এম রবীন শীষ, জেলা কালচারাল অফিসার তাইফুর রহমান, স্থানীয় সামাজিক সংগঠন একুশে পরিষদের সভাপতি ডি, এম আব্দুল বারী, দেশবরেণ্য নৃত্য সংগঠক রাজশাহীর হাসিব পান্না, নওগাঁর সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ত্রিশূল’ এর প্রতিষ্ঠাতা তৃণা মজুমদার, কেয়া আরহাম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান লায়লা আরজুমান, মানবাধিকার নওগাঁ জেলার সাধারণ সম্পাদক রোটোরিয়ান চন্দন দেব।

সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ত্রিশূল’ এর প্রতিষ্ঠাতা তৃণা মজুমদার, নানা কারণে হারিয়ে যাচ্ছে দেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্য, ভাষা ও সংস্কৃতি। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকজ সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখতে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ত্রিশূলের কর্মীরা তাদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি তুলে ধরছেন।

(ঢাকাটাইমস/১৪অক্টোবর/প্রতিনিধি/এআর)



বার্তা সূত্র