গত ৪ মে তারিখে দুই আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় হাঁটানো এবং নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ।
Manipur Viral Video Incident : মণিপুরে মহিলা নিগ্রহের ঘটনায় জড়িত নাবালক, গ্রেফতার ৬
এই ঘটনার একটি ২৬ সেকেন্ডের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে গত ১৯ তারিখে। তারপরেই এই ঘটনা নিয়ে তুমুল হইচই শুরু হয় দেশজুড়ে। এই ঘটনায় কড়া নিন্দা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিংও। তাঁরা জানান, এই ঘটনায় লজ্জায় মাথা হেঁট হয়েছে দেশবাসীর। এই ঘটনায় জড়িত কাউকেই ছাড়া হবে না বলেও জানান তাঁরা। তারপরেই ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান শুরু করে পুলিশ।
মণিপুরের আদিবাসী সংগঠনের দাবি, ওই দুই মহিলাকে ধর্ষণ করাও হয়েছিল। বিবস্ত্র করে ওই দুই মহিলাকে হাঁটিয়ে ধান জমিতে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও দাবি তাঁদের।
Manipur Viral Video Incident : নিজের ইচ্ছায় ধর্ষণ করেনি, মণিপুরকাণ্ডে মুখ খুললেন অভিযুক্তের মা
আদিবাসীদের সংগঠন , Indigenous Tribal Leaders’ Forum (ITLF), দাবি করে গত ৪মে ওই ঘটনা ঘটে ইম্ফল থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে কাংপোকপি জেলার এলাকায়। তারপরে এই নিয়ে থানায় অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ এতদিন কোন পদক্ষেপ নেয়নি। দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় এবং প্রতিবাদ শুরুর পরেই পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে তৎপর হয়েছে। এরই সঙ্গে অভিযোগ, কুকি উপজাতির মহিলাদের নিগ্রহ করে মেইটি সম্প্রদায়ের লোকজন। তাঁরা ওই মহিলাদের একজনের বাবা এবং ভাইকেও খুন করে। ওই মহিলাদের একজনের স্বামী কারগিল যুদ্ধে দেশের হয়ে লড়াই করেছিলেন।
Manipur News : দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড়, মণিপুরকাণ্ডে গ্রেফতার পঞ্চম অভিযুক্ত
এই ঘটনায় প্রথম গ্রেফতার করা হয় ২০ তারিখে। হুইরেম হেরোদাস নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার পরে অন্যদের ধরা হয়। এদিকে, হেরোদাসের মায়ের দাবি, গ্রেফতার হওয়া এবং ওই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার আগেই তার কাছে ঘটনার কথা স্বীকার করে হেরোদাস। তবে হেরোদাস দাবি করে যে এই মহিলাদের নিগ্রহ করতে চায়নি। সেখানের উপস্থিত জনতার চাপে পড়েই ওই কাজ করতে বাধ্য হয় সে। মণিপুরের পুলিশ ওই ঘটনায় তদন্তে নেমে এক নাবালককেও গ্রেফতার করে। শনিবারই গ্রেফতার করা হয় বছর ১৯-এর আরেক অভিযুক্তকেও।