মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদের কলাবাগানে গন্ধেশ্বরী পুজোর আয়োজন করা হল। সকাল থেকেই চলল পুজো পাঠ ও হোম যজ্ঞ অনুষ্ঠান। বহু প্রাচীন এই পুজো দেখতে সকাল থেকেই ভিড় জমান বহু সাধারণ মানুষ। গন্ধেশ্বরী আদপে দুর্গারই একটি অংশ বিশেষ। চতুর্ভুজা দেবী গন্ধেশ্বরীর ধ্যান মন্ত্রে বলা হয়, ‘দুর্গা দুর্গতিহারিণী ভবতু নঃ’, অর্থাৎ ‘হে দেবী, আপনি আমাদের নিকট দুর্গতিহারিণী দুর্গাস্বরূপা হোন। দুর্গতিহারিণী দুর্গা রূপে আমাদের দুঃখ বিনাশ করুন।’
দুর্গা ও গন্ধেশ্বরী উভয়েই সিংহ বাহিনী এবং অসুরমর্দিনী। গন্ধবণিক সম্প্রদায়ের ব্যবসায়ীরা এদিন তাঁদের হিসেব খাতা এবং ওজন পরিমাপের যন্ত্র দেবীর সামনে সাজিয়ে রাখেন। গন্ধেশ্বরীর আশীর্বাদ নিয়েই সারা বছরের ব্যবসার সমৃদ্ধি কামনা করা হয় এই দিনে। ধনপতি সৌদাগর, শ্রীমন্ত সৌদাগর, চাঁদ সৌদাগরের সময় থেকে বাণিজ্যে যশ খ্যাতি অর্জন করেছে এই গন্ধবণিক সম্প্রদায়।
আরও পড়ুন: গর্ভবতী না হয়েও ৭ বছর ধরে দুধ দিচ্ছে গাভী! আমেঠির ‘কামধেনু’-র আসল সত্য জানেন কি? শুনলে অবাক হবেন
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের মধ্যে অন্যতম হল দেবী গন্ধেশ্বরীর পুজো। বৌদ্ধ বিহারে, অন্যান্য হিন্দু দেব দেবীর সঙ্গে গন্ধেশ্বরীরও একটি মূর্তি আছে। তবে সেটি ওই বৌদ্ধ বিহারের মতো খুব প্রাচীন নয়। গন্ধেশ্বরী দেবী আদ্যাশক্তি দুর্গারই অন্যরূপ। গন্ধেশ্বরীর রূপ অনেকটা জগদ্ধাত্রীর রূপের মতোই। হাতে শঙ্খ, চক্র, ধনুর্বান শোভা পায়।
প্রাচীনকালে বণিকরা ময়ূরপঙ্খী ভাসিয়ে চলতেন বাণিজ্যে। পথে যেমন ঝড়, বৃষ্টি, বন্যা ইত্যাদি আশঙ্কা ছিল, তেমনই ডাকাত, বন্য জীব জন্তুর ভয় ছিল। সমস্ত ভয়, বিপদ থেকে রক্ষা করেন মা দুর্গতিনাশিনী, ভয়হারিনী অভয়া মা দুর্গা । তাই বণিক শ্রেনী এই দেবীর আরাধনা করেন।
কৌশিক অধিকারী
আপনার শহর থেকে (মুর্শিদাবাদ)
Published by:Teesta Barman
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Maa Durga, Murshidabad