Monday, January 13, 2025

সপ্তাহে শীর্ষে

প্রাসঙ্গিক বার্তা

দুই হাজার বছরের পুরনো রথ অক্ষত আবিষ্কার: ইতালির প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কৃতিত্ব

এক আশ্চর্য আবিষ্কার করল ইতালির প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। শনিবার পম্পেইয়ে একটি অক্ষত রথ আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা। রথটি ২ হাজার বছর পুরনো। অবৈধ খননকার্য চালানোর সময় নাপেলসের কাছে এই রথ আবিষ্কৃত হয়। রথটি কাঠ ও লোহা দিয়ে তৈরি। ব্রোঞ্জ দিয়ে সাজানো।

প্রাচীন শহর পেরিয়ে পম্পেইয়ের উত্তরে একটি বসতির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল। সেখানে আগে তিনটি ঘোড়ার ধ্বংসাবশেষও আবিষ্কৃত হয়েছিল। রথটি ওই এলাকাতেই আবিষ্কার হয়েছে। পম্পেইয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এই আবিষ্কারকে “ব্যতিক্রমী আবিষ্কার” আখ্যা দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, এটি একটি ইউনিক অনুসন্ধান। এখনও পর্যন্ত ইতালিতে এমন আবিষ্কার হয়নি। এটি দেশের সংরক্ষণের জন্য দুর্দান্ত জিনিস। কিন্তু এতদিন চোরেদের নজর এড়িয়ে এই রথ রয়ে গেল কী করে? এরও ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ।

৭৯ এডি-তে ভিসুভিয়াসের অগ্নুৎপাত গোটা পম্পেইকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। মনে করা হচ্ছে এই রথটি তখনই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। এর ছাদ ভেঙে যাওয়ায় গোটা পরিকাঠামো ভেঙে পড়ে। এতদিন পর্যন্ত মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকায় প্রত্নতাত্তিক জিনিস যারা চুরি করে তাদের নজর বাঁচিয়ে এই রথ নিজেকে সুরক্ষির রাখতে সক্ষম হয়েছে। রথের চাকাগুলি কাঠের। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার এতদিন পরও সেগুলি অক্ষত রয়েছে। তার কোনও ক্ষতি হয়নি।

ভিসুভিয়াসের কাছে যে প্রাচীন নগর ছিল সেখান থেকে রথটি আবিষ্কৃত হয়েছে। প্রাচীন রোম শহরের বাইরে ভূমধ্যসাগরের কাছে এই প্রাচীন নগর অবস্থিত ছিল। পম্পেইয়ের এই এলাকা থেকেই প্রত্নতাত্ত্বিকরা গত বছর একটি কঙ্কাল অবিষ্কার করেছিলেন। জানা গিয়েছিল সেটি ছিল এক স্বাস্থকর মানুষের কঙ্কাল। অনুমান সে ছিল এক ক্রীতদাস। কোনও এক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়। একই এলাকা থেকে দুটি ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার পর অনেকেই মনে করছেন সেখান থেকে প্রাচীন যুগের আরও অনেক কিছুই আবিষ্কার হতে পারে।

এই রথের প্রথম লোহার খণ্ডটি আবিষ্কার হয়েছিল ৭ জানুয়ারি। প্রত্নতাত্ত্বিকদের ধারণা এই রথটি অনুষ্ঠান বা প্যারেডে ব্যবহার হত। কনেকে বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্যও এই রথের ব্যবহার হত বলে অনুমান। এর আগে পম্পেইয়ে অনেক রথ আবিষ্কার হয়েছে। সেগুলি সে যুগের মানুষের দৈনন্দিন কাজে লাগত। কিন্তু এই রথটি সেগুলো থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।  সূত্র: কলকাতা ২৪

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

পাঠক প্রিয়