
ছবি : সংগৃহীত
টিভি প্রোগ্রাম, ধারাবাহিক নাটক ও টিভি বিজ্ঞাপনের পরে এবার সিনেমায় অভিনয় করলো যমজ ভাই-বোন তৃনা ও তুর্য। পুরো নাম নওশীন তাবাসসুম তৃনা ও নাবিদ রহমান তুর্য। ঢাকার পিলখানায় বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের ইংরেজি ভার্সনে সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তারা। খুব ছোট বয়সে বাসায় গান কবিতা আর অভিনয়ের হাতেখড়ি হলেও, চর্চাকে শানিত করতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী, শিশু একাডেমী, ছায়ানট, পিপিলস লিটল থিয়েটার ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সারেগামা স্কুলের নিয়মিত শিক্ষার্থী দু’ভাই বোন।
এথিক থিয়েটারের পুরোধা, নাট্যকার কথা সাহিত্যিক ও সাংবাদিক রেজানুর রহমানের উৎসাহে সিনেমায় পা বাড়ানো তাদের দুজনের। মাসুম রেজার কাহিনী, সংলাপ ও চিত্রনাট্যে, মুশফিকুর রহমান গুলজারের পরিচালনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে সিনেমা ‘দুঃসাহসী খোকা’য় অভিনয় করেছে তৃনা ও তুর্য।
বঙ্গবন্ধুর শিশু কিশোর ও শৈশবের তারুণ্য দীপ্ত ঘটনা নিয়ে নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘দুঃসাহসী খোকা’। যেখানে বঙ্গবন্ধুর শৈশবের ঘনিষ্ঠ বন্ধু তারা মিয়া চরিত্রে অভিনয় করেছে তুর্য। আর বঙ্গবন্ধুর সেজো বোন হেলেন চরিত্রে অভিনয় করেছে তৃনা।
শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। স্টার সিনেপ্লেক্স এর বিভিন্ন হলে প্রদর্শিত হচ্ছে দুঃসাহসী খোকা সিনেমা। যা ইতোমধ্যে দর্শক প্রিয়তা পাচ্ছে।
এর আগে ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার ফিল্ম আর্কাইভসে প্রিমিয়ার শো প্রদর্শিত হয় চলচ্চিত্র ‘দুঃসাহসী খোকা’র।
সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে তুর্য বলেন, বঙ্গবন্ধুর শৈশব কৈশোর নিয়ে নির্মিত এমন ঐতিহাসিক সিনেমায় অভিনয় করার জন্য বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীসহ বেশ কিছু বই পড়তে হয়েছে। যার মাধ্যমে অনেক ইতিহাস জানার সুযোগ পেয়েছি। একই সাথে সরকারি অনুদানের এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করে ইতিহাসের অংশ হতে পেরে নিজেকে সত্যিই ধন্য মনে হচ্ছে। এজন্য পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান এ শিশু শিল্পী।
সিনেমায় প্রথম অভিনয়ের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে উচ্ছ্বসিত শিশু শিল্পী তৃনা বলেন, টিভি নাটকের ধারাবাহিকে কাজের পরে সিনেমায় কাজ করার অভিজ্ঞতা সত্যিই অন্যরকম। আর এমন গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক কাজের অংশ হতে পারাটাও অনেক শিক্ষণীয়। শুটিং এর সময়ে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়াসহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের শিক্ষাগুলো আগামীতে অভিনয় শিল্পী হিসেবে আরো বেশি অভিজ্ঞ করে তুলবে নিজেকে, এমনটাই মনে করেন তৃনা।
এই সিনেমায় কাজ করতে সুযোগ দেওয়ায় তৃনা এবং তুর্য দু’জনেই তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বীর শ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ লে. কর্নেল জোনায়েদ আহমেদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, স্যারের উৎসাহ আর শুটিং কালীন সময়ে স্কুল ছুটির দীর্ঘ অনুমতি না পেলে এমন কাজে অংশ নেওয়ার সুযোগ কখনোই পাওয়া যেতো না।