ঢাকাই সিনেমার সুদিন ফেরার লক্ষণ বেশ আগে থেকেই স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। দর্শক বাড়তে শুরু করেছে সিনেমা হলগুলোতে। ঈদকে কেন্দ্র করে দর্শকের স্রোত বাড়ার সম্ভবনার আশা করা হচ্ছিল। সেই সম্ভবনাই বাস্তবে দেখা যাচ্ছে।
ঈদে দেশে একসঙ্গে মুক্তি পেয়েছে নানা জাতের ৮টি সিনেমা। যার প্রতিটিই কুড়াচ্ছে প্রশংসা। যেমনটা নিকট অতীতে দেখা যায়নি। ঢাকাসহ সারা দেশের দুই শতাধিক সিনেমা হলে এবার সিনেমা প্রদর্শন করা হচ্ছে। গেল কয়েক বছরে চলতি হলের সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ ৬০।
এই অবস্থায় বিদেশি সিনেমা আমদানি ও নিজেদের মধ্যে কাদা ছোঁড়াছুড়ি না করার অনুরোধ জানিয়েছেন চিত্রনায়ক ও শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।
তার এই অনুরোধের কারণ, “লিডার: আমিই বাংলাদেশ”, “কিল হিম” ও “শত্রু” ছবির সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্টদের নানা বাহাস। অন্যদিকে “পাঠান” সিনেমা আমদানির তোড়জোড়।
জায়েদ খান বলেছেন, “এই ঈদে যার যার সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, তারা সবাই সর্বোচ্চ দিয়ে নিজের সিনেমার প্রচারণা চালিয়ে যান। কিন্তু কেউ কারও সিনেমা নিয়ে কিংবা কেউ কাউকে কটূক্তি করবেন না প্লিজ। দর্শকের কাছে আমাদের সম্মান এমনিতে তলানিতে, তাদের কাছে নিজেদের আর ছোট না করি।”
জানা গেছে, আগামী ৫ মে “পাঠান” মুক্তি পাচ্ছে বাংলাদেশে। স্বাভাবিক নিয়মেই, “পাঠান”র চাপে ঈদের সিনেমাগুলো হল ছাড়তে বাধ্য হবে ৪ মের মধ্যে। যেমন ঈদে “লিডার: আমিই বাংলাদেশ” ছবির চাপে আশানুরূপ হল পায়নি বাকি ৭টি ছবি। এই ছবিগুলো আশায় আছে ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে নিজেদের পরিধি বাড়াবেন। কিন্তু “পাঠান” হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে তাদের জন্য। এমনকি হুমকিতে পড়তে পারে ঢাকাই শোবিজের সুপারস্টার শাকিব খানও।
এদিক থেকে জায়েদ খানের আহ্বান, “ঈদের সিনেমাগুলোকে আরও কয়েক সপ্তাহ ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়া উচিত। বাংলাদেশি চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলা-কুশলীদের বাঁচার সুযোগ তৈরি হোক।”
তথ্যমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে জায়েদ খান বলেন, “বাংলাদেশি চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলা-কুশলীদের বাঁচার সুযোগ তৈরির স্বার্থে আরও কয়েক সপ্তাহ হিন্দি সিনেমা মুক্তি বন্ধ রাখা হোক। তথ্যমন্ত্রী মহোদয়, হিন্দি সিনেমা আমদানিকারক, হল মালিকদের প্রতি এ বিষয়ে অনুরোধ রইল।”