বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে”।
বাংলাদেশ সফররত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত জং সুং মিন বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের অংশ হিসেবে জাং সুং মিন বাংলাদেশ সফর করছেন। বাংলাদেশে তিন দিনের সফরে তিনি মঙ্গলবার ঢাকায় পৌঁছেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য লেখক মো. নজরুল ইসলাম।
শেখ হাসিনা বলেন, “দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ উন্নয়ন অংশীদার এবং দেশটি স্বাধীনতার পর থেকে বিশেষ করে টেক্সটাইল ও অবকাঠামো খাতে সহযোগিতা করে আসছে”।
বিশেষ দূত জাং সুং মিন বলেন, তার দেশ আগামী ৫০ বছরে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আগ্রহী।
কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্টের অফিসের ভবিষ্যত কৌশলের সিনিয়র সেক্রেটারি ও প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত বলেছেন, আগামী দিনে সম্পর্কটি ধীরে ধীরে আরও শক্তিশালী হবে।
৫০ বছর আগে ১৯৭২ সালের ১২ মে দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিলে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের পক্ষে বিশেষ দূত দেশটিতে প্রধানমন্ত্রীকে সফরের আমন্ত্রণ জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকেও বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং-কিউন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত সকালে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, জাং সুং মিন প্রেসিডেন্ট ইউনের একজন ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে ২০২২ সালের মে মাসে কাজ শুরুর পর থেকে নতুন প্রশাসনে দক্ষিণ কোরিয়ার কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক নীতিগুলো প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।