Skip to content

তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে দুদকের মামলায় ৩ ব্যাংক কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ

তারেক-জোবায়দাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক-এর করা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে এক বেসরকারি ব্যাংকের তিন কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিয়েছেন।

সোমবার (২৯ মে) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এবি ব্যাংকের কারওয়ানবাজার শাখার সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম মুসা করিম, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ওবায়দুর রশিদ খান এবং কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্য শেষে আদালত মঙ্গলবার (৩০ মে) সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।

দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জানান, বিচারক তিন জনের জবানবন্দি শুনে মঙ্গলবার পরবর্তী শুনানির দিন রেখেছেন। মামলাটিতে এখন পর্যন্ত ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক থাকায় কোনো সাক্ষীকেই জেরার মুখোমুখি হতে হচ্ছে না।

গত ২১ মে মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক জহিরুল হুদার জবানবন্দি উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এর পর, ২৫ মে সাক্ষ্য দেন পিরোজপুরের কাউখালীর এমরান আলী শিকদার এবং নড়াইলের লোহাগড়ার সৈয়দ আজাদ ইকবাল। তারা দুইজনই বিএনপির মুখপত্র দৈনিক দিনকাল পত্রিকার হিসাব বিভাগে কর্মরত ছিলেন।

গত ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই আদালত। এর আগে গত ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর গত ১৯ জানুয়ারি তাদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দেন আদালত।

ঘোষিত আয়ের বাইরে, ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানী ঢাকার কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক।

মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা, অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে অভিযুক্ত করা হয়। ২০০৮ সালে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

সূত্র: ভয়েজ অব আমেরিকা