নিউজ ডেস্ক: তবে কি খুব শীঘ্রই শিক্ষকদের পদোন্নতির বিষয়ে ঘোষণা করা হবে? জরুরি বৈঠক ডাকল বিকাশ ভবন। গত মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যে নতুন শিক্ষানীতি চালুর প্রস্তাব পাশ হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনগুলি পদোন্নতির দাবিতে সোচ্চার হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই প্রস্তাবে সায় দেওয়ার পর তা কার্যকর করার জন্য তৈরি হয় বিশেষ কমিটি।
এই অবস্থায় শিক্ষকদের পদোন্নতি নিয়ে জরুরি বৈঠক বিকাশ ভবনে। ২ নভেম্বর এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। খবর মিলেছে, শিক্ষকদের পদন্নতির খসড়া কাঠামো বানিয়ে ফেলেছে বিশেষ কমিটি। আগামী ৩০,৩১ ও ১ তারিখ দফায়-দফায় বৈঠকে বসবে পদোন্নতি কমিটি। ২ তারিখ বৈঠকে থাকবেন শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। বৈঠকে থাকার কথা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুরও।
শিক্ষকদের পদোন্নতির বিষয়টিতে জোর দেওয়া হচ্ছে বার্ষিক মূল্যায়নের মাপকাঠির উপরে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন প্যারামিটার নির্ধারিত হচ্ছে। এক জন শিক্ষক সময়ের যথোপযুক্ত আপডেট হচ্ছেন কি না, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন কি না, এসবের ওপর জোর দেওয়া হবে। তার ওপরেই তাঁর পদোন্নতি নির্ধারিত হবে। ফলত, ২ তারিখের এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন শিক্ষাবীদদের একাংশ।
অধ্যাপকদের মতো এবার শিক্ষকদেরও হবে পদোন্নতি। অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসরদের মতো এবার শিক্ষকদের জন্যও তৈরি হবে নতুন পদ। স্কুল শিক্ষকদের জন্যও এবার নয়া প্রোমোশন নীতি আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। আসতে চলেছে অ্যাসোসিয়েট শিক্ষক, সিনিয়র শিক্ষকের মতো নতুন পদ। এর আগে রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও শিক্ষকদের সার্বিক উন্নতির কথা বলেছিলেন।
জানা গেছে, কোনও শিক্ষকের নিজের লেখা বই থাকলে, পদোন্নতির ক্ষেত্রে সেটি বাড়তি গুরুত্ব পেতে পারে। উল্লেখ্য, বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের পদোন্নতি হয় তাঁদের প্রকাশনার বিচারে। এর পাশাপাশি স্কুলের কোনও শিক্ষামূলক ভ্রমণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের ভূমিকা কী, সেটিও খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করতে পারে রাজ্য। কোনও শিক্ষক হেড একজামিনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন কি না, ক্লাসরুম টিচিং কেমন, আলাদা করে রুটিনের বাইরে এক্সট্রা ক্লাস করাচ্ছেন কিনা, তাঁর প্রকাশিত কোনও আর্টিকেল রয়েছে কি না। এইসব বিষয়গুলিও দেখা হবে বলে জানা গেছে।