Skip to content

ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে গতি বাড়ছে ট্রেনে

ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে গতি বাড়ছে ট্রেনে

রেলের ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী প্রথম শ্রেণির ট্রেনগুলোতে যুক্ত হচ্ছে আরও শক্তিশালী নতুন লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন)। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানি করা ১০টি ইঞ্জিনের সাতটিই লাগানো হচ্ছে রেলের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এই রুটের যাত্রীবাহী অভিজাত ট্রেনগুলোতে। অবশিষ্ট তিনটি ইঞ্জিন যুক্ত করা হবে পণ্যবাহী ট্রেনে। ফলে এসব ট্রেনের গতিও হবে আশানুরূপ, দুর্দান্ত। বর্তমানে ইঞ্জিনগুলো নির্ধারিত ট্রেনগুলোতে যুক্ত করার ট্রায়াল রানিং ও কমিশনিংয়ের কাজ চলছে।

বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলো চলছে ইন্দোনেশিয়ার ২৯০০ সিরিয়ালের ইঞ্জিন দিয়ে। এসব ট্রেন ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫৫-৬০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করে। তবে নতুন আমদানি করা কোরিয়ার হুন্দাই ব্র্যান্ডের ৩০০০ সিরিয়ালের মিটারগেজ ইঞ্জিনগুলো তুলনামূলকভাবে আধুনিক ও শক্তিশালী। ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিসম্পন্ন নতুন এসব ইঞ্জিন দিয়ে সহজেই ৭৫-৮০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো যাবে। তখন ঢাকা-চট্টগ্রামে যাতায়াতে সময় লাগবে কম।

ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী সুবর্ণ এক্সপ্রেস, সোনার বাংলা, তূর্ণা-নিশিথা, মহানগর গোধূলি, মহানগর প্রভাতীসহ প্রথম শ্রেণির বিভিন্ন ট্রেনে এসব নতুন ইঞ্জিন যুক্ত হবে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ঋণ সহায়তায় ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে কোরিয়ার হুন্দাই রোটেম কোম্পানির কাছ থেকে সম্প্রতি এগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে।

বর্তমানে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম কিংবা চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় চলাচলে সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা লাগে। ৭৫-৮০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চললে এই সময় এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত কমে আসবে। পর্যায়ক্রমে এই রুটে ট্রেনের গতি বাড়ানো হবে।

রেলপথে ঢাকা-চট্টগ্রামের দূরত্ব ৩২৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে ২৭৩ কিলোমিটার বর্তমানে ডাবল লাইন। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট (সিওপিএস) এএম সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নতুন ১০ ইঞ্জিন দিয়ে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি চলছে। লাকসাম থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার ডাবল লাইন স্থাপনের কাজ জুনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। তখন আর কোনো ক্রসিং থাকবে না এবং আরও অনেক কম সময়ে ঢাকা-চট্টগ্রামে চলাচল করা যাবে।’

ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের ট্রেনগুলোতে নতুন ইঞ্জিন লাগানোর পর আগের ইঞ্জিনগুলো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রুটে চলাচলকারী ট্রেনে যুক্ত করা হবে। এতে সেসব রুটের ট্রেনের গতিও বাড়বে। রেলওয়ে চরম ইঞ্জিন সংকটে ভুগছে। বর্তমানে রেলে ২৭৩টি ইঞ্জিন রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৭৯টি মিটারগেজ ও ৯৪টি ব্রডগেজের। এসব ইঞ্জিনের ১৯৫টিরই মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। ৬৬ বছরের পুরোনো ইঞ্জিন দিয়েও ট্রেন চালাতে হচ্ছে।

সূত্র: সমকাল