Skip to content

ঢাকা ও জাকার্তার মধ্যে জ্বালানি ও কৃষি সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই

ঢাকা ও জাকার্তার মধ্যে জ্বালানি ও কৃষি সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই

জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া। এছাড়া, দুই দেশের মধ্যে কৃষি সহযোগিতার বিষয়ে আরেকটি দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক সই করা হয়েছে। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাকার্তায়, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি দুই দেশের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।

এসময়, ইন্দোনেশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের প্রবেশ সহজ করার জন্য, জাকার্তার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জ্বালানি খাতে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সইয়ের লক্ষ্য হলো, বাংলাদেশে আধুনিক ও নবায়ণযোগ্য শক্তির উৎস এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য প্রচলিত জ্বালানির দীর্ঘমেয়াদী বিক্রি ও সরবরাহ প্রসার করা। কৃষির খাতের উদ্দেশ্য হলো, উৎপাদন, বিপণন, প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রসার এবং কৃষি ক্ষেত্রে ইতিবাচক অভিজ্ঞতা বিনিময়ে সহযোগিতা বাড়ানো।

সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ তিনশ’ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন। তিনি বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণের মধ্যে ভারসাম্যহীনতার কথা উল্লেখ করেন।

আব্দুল মোমেন বলেন, “ইন্দোনেশিয়ার বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে এই ব্যবধান কমানো যেতে পারে।” আসিয়ান অঞ্চলে ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার বলে উল্লেখ করেন ড. মোমেন। তিনি বলেন, “এখনো দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।”

দুই দেশের মধ্যে শিগগিরই দ্বিপক্ষীয় অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতাসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার জন্য বাংলাদেশের আহ্বান এবং বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গাদের) প্রত্যাবাসনসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন তারা।

বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে সাংস্কৃতিক মিল এবং জনগণের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক বন্ধন রয়েছে উল্লেখ করেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি। তিনি দুই দেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী এবং আরো প্রাণবন্ত সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের নতুন উপায় খোঁজার ওপর জোর দেন।

উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্বালানি, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহযোগিতা আরো বাড়ানোর সম্ভাবনার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

৪৩তম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন এবং ১৮তম ইস্ট-এশিয়া সামিটে অংশ নিতে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর আমন্ত্রণে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন জাকার্তা সফর করছেন।

তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চল এবং এর বাইরের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের অংশগ্রহণে দুটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণ করছেন।

সূত্র: ভয়েজ অব আমেরিকা