Skip to content

ঢাকায় মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলা: মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ ৬ ডিসেম্বর

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রর সাবেক রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার মামলায়, ঢাকার একটি আদালতে বিচার কাজ শুরু হয়েছে। সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে আগামী ৬ ডিসেম্বর।

রবিবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত, অভিযুক্ত মোহাম্মদ ইশতিয়াক মাহমুদের করা অব্যাহতির আবেদন নাকচ করেন এবং অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ৬ ডিসেম্বর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের শ্যালক, মোহাম্মদ ইশতিয়াক মাহমুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই বিচার শুরু হয়েছে। মার্সা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায়, ড. বদিউল আলম মজুমদার বাদী হয়ে, ২০১৮ সালের ১০ আগস্ট রাতে, মোহাম্মদপুর থানায় এই মামলা দায়ের করেন।

ইশতিয়াক মাহমুদের আইনজীবী গাজী ফয়সাল ইসলাম বলেন, “আগামী ৬ ডিসেম্বর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য তারিখ রেখেছেন আদালত। ইতোমধ্যে এ মামলায় ৮ অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য হয়েছে। আদালত বলেছেন, আমরা চাইলে এই ৬ সাক্ষীকে আ জেরা করতে পারবো।”

মামলার অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন; মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুল হাসান ওরফে রাসেল, ফিরোজ মাহমুদ, মীর আমজাদ হোসেন, সাজু ইসলাম, রাজীবুল ইসলাম, শহিদুল আলম খান, সিয়াম ও অলি আহমেদ।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেয় ডিবি পুলিশ। মার্সা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায়, ২০১৮ সালের ১০ আগস্ট রাতে ড. বদিউল আলম মজুমদার বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন।

এরপর, ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. আব্দুর রউফ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২২ সালের ১ মার্চ, নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

গত বছরের ২৮ মার্চ এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। গত ৪ ডিসেম্বর এ মামলায় ছয় জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়। পরে দেখা যায়, এদের মধ্যে সাক্ষী ড. বদিউল আলম মজুমদার, খুশি বেগম ও মাহবুবুল আলম মজুমদার তাদের জবানবন্দিতে ইশতিয়াক মাহমুদের নাম উল্লেখ করেন।

গত ২৭ ডিসেম্বর আদালত এ মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায় থেকে উত্তোলন করে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ঢাকার সিএমএম কোর্ট বরাবর পাঠান। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন।

সূত্র: ভয়েজ অব আমেরিকা