বাংলাদেশ সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশ জানিয়ে দিয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ করার জন্য নয়।
“আমরা বলেছিলাম আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছি, কিন্তু এটা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রোধ করার জন্য নয়। আওয়ামী লীগ সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে”।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে বৈঠককালে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষকে এসব কথা বলেছেন।
আব্দুল মোমেন বিপুলসংখ্যক সংবাদপত্র ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের চালু থাকার কথা উল্লেখ করে একে তিনি “অতি সক্রিয়” হিসেবে বর্ণনা করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেলের মতে, সভায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন “গণমাধ্যম এবং নাগরিক সমাজের বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং ভয় দেখানো” নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, যার মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রসঙ্গও রয়েছে।
বাংলাদেশে শ্রম খাত সংস্কারের চলমান ও সম্পন্ন কাজের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন আশা প্রকাশ করেন, দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী অর্থনৈতিক অংশীদারির মাধ্যমে এই প্রচেষ্টা যথাযথভাবে স্বীকৃত ও প্রশংসিত হবে।
অ্যান্টনি ব্লিংকেন বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতির উন্নতিতে চলমান যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ পরামর্শমূলক প্রক্রিয়ার প্রশংসা করেন।
আব্দুল মোমেন শ্রমের মানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন এবং ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের (ডিএফসি) অধীনে অর্থায়নের জন্য বাংলাদেশকে বিবেচনা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান।
ডিএফসি হলো যুক্তরাষ্ট্রের ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স ইনস্টিটিউশন। এটি উন্নয়নশীল বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জের সমাধানে অর্থায়নের জন্য বেসরকারি খাতের সঙ্গে অংশীদারত্ব করে।