Skip to content

ঠাকুরগাঁওয়ের মন্দিরে আওয়ামী লীগ নেতারা, জড়িতদের ‘মাটি খুঁড়ে ধরার’ আশ্বাস

ঠাকুরগাঁওয়ের মন্দিরে আওয়ামী লীগ নেতারা, জড়িতদের ‘মাটি খুঁড়ে ধরার’ আশ্বাস

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় এক রাতে ১৪ মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা যেখানেই থাকুক না কেন তাদের আটক করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে আওয়ামী লীগ। 

ঘটনার এক সপ্তাহ পর আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল বালিয়াডাঙ্গির প্রতিমা ভাঙচুর করা মন্দিরগুলো পরিদর্শন শেষে সেখানে এক সমাবেশে নেতারা এই আশ্বাস দেন।     

রোববার বিকেল ৪টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন আওয়ামী লীগের নেতারা। পরে বিকাল ৫টার দিকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী হাটে আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিবাদ ও সম্প্রীতি সমাবেশে অংশ নেন তারা। 

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, “বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা হচ্ছে আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি। এ উপজেলায় সব সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করে আসছে। হঠাৎ করে এখানে রাতের আঁধারে মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর করার ঘটনা ঘটেছে। 

তিনি ঘটনার জন্য বিএনপিকে দায়ী করে বলেন, “আমরা মনে করি, আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্যই স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করেছে।”  

রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, “পুলিশ ও প্রশাসনকে বলেছি, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুর করার ঘটনায় জড়িতদের কোনো ছাড় নেই। তারা যদি মাটির ভেতরেও লুকিয়ে থাকে, সেখান থেকে তাদের বের করা হবে এবং তাদের বিচার কার্যকর করা হবে।” 

৪ ফেব্রুয়ারি গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত সময়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা, চাড়োল ও পাড়িয়া ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামের ১৪টি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ধনতলা ইউনিয়নে ৯টি, চাড়োল ইউনিয়নে একটি এবং পাড়িয়া ইউনিয়নে ৪টি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর হয়।

এ ঘটনায় ৫ ফেব্রুয়ারি বালিয়াডাঙ্গী থানায় একটি মামলা করেন ধনতলা ইউনিয়নের সিন্দুরপিণ্ডির হরিবাসর মন্দির কমিটির সভাপতি যতীন্দ্রনাথ সিংহ। তবে আট দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

এর মধ্যে বৃহস্পতিবার মন্দির পরিদর্শন শেষে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল অভিযোগ করে, এ ঘটনার সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত।

অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মধ্যে রোববার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলাম, দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট হোসেন আরা লুৎফা ডালিয়া, ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী, সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুনাংশু দত্ত টিটো

বার্তা সূত্র