বিয়ে না করেই জান্নাত আরা ঝর্নার সঙ্গে অবৈধ মেলামেশা করতেন হেফাজত নেতা মামুনুল হক। তার এমন আচরণ ঝর্ণা মেনে নিতে পারেননি। পরে এ জন্য অনুশোচনাও করেন। ঝর্ণার লেখা দুইশ পৃষ্ঠার তিনটি ডাইরি থেকে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। শুক্রবার (৯এপ্রিল) ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
হেফাজত নেতা মানুনুলের কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী ঝর্ণা। তাকে নিয়ে মামুনুল নারায়ণগঞ্জের রয়েল রিসোর্টে গিয়েছিলেন অবসর কাটাতে। আর সেখানেই স্থানীয় জনগনের প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। সে সময় মামুনুল দাবি করেন তিনি দুই বছর আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন, ঝর্ণা তার স্ত্রী। তবে এর আগে কেউ তার দ্বিতীয় বিয়ের কথা জানতো না। দেশজুড়ে শুরু হয় তুমুল আলোচনা সমালোচনা।
রয়েল বিসোর্টের ঘটনা নিয়ে মামুনুল তার প্রথম স্ত্রীর কাছেও সত্য গোপন করেন। পরে ফেসবুক লাইভে এসে স্ত্রীকে খুশি করতে সীমিত পরিসরে মিথ্যে বলার অবকাশ আছে দাবি করে নিজের পক্ষে সাফাইও গান। এবং নিজের ফোনালাপ ফাঁসের কথাও বলেন। যা থেকে প্রমাণ হয়, প্রথম স্ত্রী আমেনা তৈয়্যইবা ও কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী ঝর্ণার সঙ্গে কথোপনের ফোন রেকর্ড ফাঁস হওয়ার ঘটনা সত্য। পরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে সেই ভিডিও মুছে ফেলেন তিনি।
এদিকে শুক্রবার ঝর্ণার তিনটি ডাইরি সামনে আসায় অনেক কিছুই খোলাসা হয়েছে। সেখানে লেখা, দীর্ঘদিন ধরেই মনোরঞ্জন করেছেন মামুনুল হক। বিয়ে বর্হিভূত মেলামেশার জন্য অনুশোচনার কথাও লেখা রয়েছে ডাইরিতে। বিয়ে না করেও ঝর্ণার নিয়মিত ভরণপোষণ দিতেন মামুনুল। কিন্তু এর বিনিময়ে ঝর্ণাকে যে মাশুল দিতে হয়েছে তার জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন সৃষ্টিকর্তার কাছে। সেখানে লেখা রয়েছে, আমার দাবিদার নেই, আমার শরীরের দাবিদার রয়েছে। এ জীবন শেষ করে দিতে চাই। আল্লাহ আমি কী করবো? আমার কী করা উচিত? কী করলে পাপমুক্ত হবো? ডাইরির পাতায় পাতায় লেখা রয়েছে মামুনুলের প্রতিশ্রুতি ভঙের বিরবণ আর সে কারণে ঝর্ণার আর্তনাদে ভরা কথাবার্তা।
ডাইরি আসলেই ঝর্ণার লেখা কিনা- এ প্রশ্নের জবাব জানতে ইনডিপেন্ডেন্ট টিভি কথা বলে ঝর্ণার বড় ছেলে আব্দুর রহিমের সঙ্গে। আব্দুর রহিম বলেন, সে জানতো, মা ডাইরি লেখেন। মা তাকে সে কথা বলেছিলেন। বলেছিলেন তার কিছু পারসোনাল ডাইরি আছে। ডাইরিগুলো ঝর্ণার বাসা থেকে পাওয়া গেছে।