Skip to content

জয়-পরাজয়ে সংখ্যালঘু ভোট বড় ফ্যাক্টর

জয়-পরাজয়ে সংখ্যালঘু ভোট বড় ফ্যাক্টর

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারেন সংখ্যালঘু ভোটাররা। এ জন্য তাঁদের ভোটের ভাগ কাউকেই দিতে চান না নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খান। শতভাগ ভোট টানতে প্রথম থেকেই কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে তাঁর কর্মী বাহিনী মাঠে প্রচারণার কাজ করছে। এখানকার সংখ্যালঘুরা তাঁর বড় একটি শক্তি বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত এ মেয়র প্রার্থী। অন্যদিকে, সংখ্যালঘুদের ভোটের টার্গেট নিয়ে শুরু থেকেই কাজ করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। মায়ের জন্য ভোট টানতে এ গোষ্ঠীর ভোটারদের মন জয় করতে চাইছেন তিনি। তাঁর কর্মী বাহিনীও সংখ্যালঘুদের মন জয় করতে নানা কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছে।

গাজীপুর সিটি এলাকায় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি। বিগত সব নির্বাচনেই গাজীপুরের সংখ্যালঘুরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ সমর্থিত প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছেন। এবার সিটি নির্বাচনেও তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের শক্তির পক্ষের বাইরে কাউকে ভোট দেবেন না বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বিএনপির মৌন সমর্থন পাওয়ার দাবিদার স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার শাহনুর ইসলাম রনিও সংখ্যালঘুদের বড় একটা অংশ তাঁর পক্ষে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, সিটি নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের ভোট একটা বড় ফ্যাক্টর। এখানকার সংখ্যালঘুরা বিএনপির নির্যাতন আর অত্যাচারের কথা ভুলে যাননি। স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তিকে তাঁরা কখনও সমর্থন করেন না। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা, শ্মশান নির্মাণ ও সংস্কারসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে দেওয়ার আশ্বাসসহ নানা কৌশলে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। স্থানীয় কয়েকটি হিন্দু পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সংখ্যালঘুদের ভোট এককভাবে কোনো প্রার্থী পাবেন না, সিটি নির্বাচনে ভোটগুলো কয়েক ভাগেই পড়বে। আওয়ামী লীগ প্রার্থী যেমন সংখ্যালঘুদের ভোটের ভাগ কাউকে দিতে চান না, ঠিক তেমনি জাহাঙ্গীরের মা জায়েদা খাতুন এবং রনি সরকারও সংখ্যালঘুদের কমপক্ষে অর্ধেক ভোট নিজের বাক্সে নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

গাজীপুর জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল চন্দ্র মল্লিক সমকালকে বলেন, সিটিতে ২ লাখ ৪৭ হাজার সংখ্যালঘু ভোটার রয়েছেন। সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম উন্নয়নের যে ধারা শুরু করেছিলেন, তা অব্যাহত থাকলে ভালো হতো। আসন্ন নির্বাচনে এককভাবে কোনো প্রার্থী সংখ্যালঘুদের ভোট পাবেন না। তবে এ ক্ষেত্রে আঞ্চলিক একটা বড় ব্যাপার হবে। প্রার্থী তাঁর নিজ অঞ্চলে ভোট বেশি পাবেন। সে ক্ষেত্রে টঙ্গীতে একই এলাকায় দুই প্রার্থী হওয়ায় সংখ্যালঘু ভোট সেখানে ভাগ হবে। আর জায়েদা খাতুনের এলাকায় তিনি একক ভোট পাবেন।

গাজীপুর জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. প্রণয় ভূষণ দাস জানান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, জনগণের উন্নয়নে কাজ করবে এমন প্রার্থীকেই অতীতের মতো বেছে নেবেন সংখ্যালঘুরা। তাঁরা সব সময় স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে সমর্থন করেন। এ নির্বাচনেও এর বাইরে তাঁরা যাবেন না বলে মনে করেন তিনি।



বার্তা সূত্র