সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিয়রে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে নিজের দ্বিতীয় দফায় সম্ভবত শেষ বিদেশ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চলতি মাসের শেষে তিনি ভুটানে যাচ্ছেন বলে খবর। মনে করা হচ্ছে, ভুটানের নতুন সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে এই সফরের জন্য পড়শি দেশকে বেছে নেওয়া হয়েছে। পাশপাশি নজরে রাখা হয়েছে চিনকেও। থিম্পুতে যাতে বেজিং প্রভাব খাটাতে না পারে সেবিষয়টির উপর জোর দেওয়া হতে পারে।
গত জানুয়ারি মাসে ভুটানের মসনদে বসেন ভারতের ‘বন্ধু’ শেরিং তোবগে। নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরই পড়শি দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকের অনুমান ছিল, নির্বাচনে কলকাঠি নেড়ে চিনপন্থী নেতাদের ভুটানের ক্ষমতায় বসাতে পারে বেজিং। কিন্তু সমস্ত আশঙ্কা নস্যাৎ করে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় তোবগের দল। সূত্রের খবর, এই প্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করতে ও কয়েকটি প্রকল্প নিয়ে আলোচনার জন্য ভুটান সফরে যেতে পারেন মোদি।
[আরও পড়ুন: তিন সেনাকর্তাকে ফাঁসির সাজা মায়ানমারে! কেন এই পদক্ষেপ জুন্টার?]
জানা গিয়েছে, এই সফরে ভারত ও ভুটানের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ রেলপথ চালুর ব্যাপারে চূড়ান্ত আলোচনা হতে পারে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে। গেলেফু বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের জন্যও উদ্যোগী হতে পারে নয়াদিল্লি। অসম সীমান্তের কাছে ভুটানের গেলেফুকে উন্নততর শহর গড়ে তোলার জন্য সেদেশের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক ব্যয়বহুল পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলেন। এই বিষয়টি নিয়েও ইতিবাচক আলোচনা হতে পারে এই সফরে। ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্যও বাড়িয়ে তুলতে একাধিক পদক্ষেপ করতে পারে নয়াদিল্লি। তবে এখনও মোদির এই সফর নিয়ে চূড়ান্তভাবে কিছু জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছর ধরে নেপাল, বাংলাদেশ, পাকিস্তানের পর ভারতকে একা করতে চিনের নজর রয়েছে ভুটানের উপর। ঋণের পসরা সাজিয়ে ও সীমান্ত বিবাদ উসকে থিম্পুকে নিজের দলে টানতে চাইছে বেজিং। বিশ্লেষকদের মতে, এহেন সংকটকালে ড্রাগনের ষড়যন্ত্র ভেস্তে দিতে মাঠে নেমেছে নয়াদিল্লি। পড়শি দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র ভুটানই এখনও চিনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’প্রকল্পে যোগ দেয়নি। বিগত কয়েক দশক থেকে চিনের চাপ অগ্রাহ্য করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রেখেছে ভুটান। বিশেষ করে সেদেশের রাজ পরিবারের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক খুবই ভালো। এই আবহে চিনকে বিশেষ কোনও বার্তা দিতেই প্রধানমন্ত্রীর সম্ভবত শেষ বিদেশ সফরের জন্য ভুটানকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন