Skip to content

চট্টগ্রাম নগরীর টাইগারপাস এলাকায় পাহাড় ধস

চট্টগ্রাম নগরীর টাইগারপাস এলাকায় পাহাড় ধস

প্রবল বৃষ্টিতে, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার-টাইগারপাস এলাকায় পাহাড় ধসে পড়লে, সড়কের একপাশে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকালে নগরীর অন্যতম প্রধান সড়কটির পাশের পাহাড়ের একাংশ ধসে, একটি মাইক্রোবাসের ওপরে এসে পড়ে; তবে কেউ হতাহত হয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, লালখান বাজার থেকে টাইগার পাস মোড় পর্যন্ত ৪০০ মিটারের মধ্যে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ করছে। এ কাজের জন্য কয়েকমাস আগে পাহাড় কেটে সড়ক প্রশস্ত করা হয়। এর পর, প্রবল বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে।

মাইক্রোবাস চালক জীবন বলেন, “সকালে আমি বহদ্দারহাট থেকে গাড়ি নিয়ে আগ্রাবাদ যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে একটা বিকট শব্দ হয়। দেখি পাহাড় ভেঙে পড়ছে।একটা বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়লো। একটা গাছ দুই টুকরো হয়ে গেল। মাটি এসে আমার গাড়ি চেপে ধরলো। আমি তখন ছিটকে গাড়ি থেকে বাইরে পড়ে যাই। গাড়িতে আমি একাই ছিলাম।”

ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। বলেছে, সড়কের এক পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেলেও, অন্য লেন দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “পাহাড় ধসের পর, ফায়ার সার্ভিসের দুইটি উদ্ধারকারী দল।মাটি সরিয়ে নিয়েছে।”

রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা, সতর্কতা জারি

এদিকে, দুই দিনের টানা বর্ষণে রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শনিবার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি শুরু হয় বজ্রপাত। এর পর, পাহাড় ধসের আশঙ্কায় থাকা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজনকে নিরাপদে সরে যেতে সতর্কবার্তা জারি করেছে রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসন।

রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, “রাঙ্গামাটিতে যেকোনো মুহূর্তে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। শুক্রবার (৪ আগষ্ট) সকাল থেকে রাঙ্গামাটি শহরের শিমুলতলী, রূপনগর, লোকনাথ মন্দির, ভেদভেদি মুসলিম পাড়াসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত লোকজনদের মাইকিং করে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছে জেলা প্রশাসন।”

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায়, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যেই, রাঙ্গামাটি শহরের ৯ টি ওয়ার্ডে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

সূত্র: ভয়েজ অব আমেরিকা